অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা রাজনৈতিক এজেন্ডার ঊর্ধ্বে রাখতে হবে: সারজিস

জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাস্তবতা তৈরি না হলে আজ আমরা কেউ নিজ অবস্থানে থাকতে পারতাম না। তাই সরকারের ওপর নির্ভর না করে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সচ্ছল ব্যবসায়ীদের উচিত শহীদ পরিবার ও আহতদের সহায়তায় এগিয়ে আসা।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় চেম্বার ভবনে ‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই, পঞ্চগড়’-এর আয়োজনে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত যোদ্ধা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, জনগণ ও অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের আকাঙ্ক্ষা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা রাজনৈতিক এজেন্ডার ঊর্ধ্বে রেখে ভাবতে হবে। সরকার ১০-১৫ হাজার গেজেটেড আহত যোদ্ধা এবং প্রায় ৯ শতাধিক শহীদ পরিবারকে নিয়ে কাজ শুরু করেছে, যা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

পঞ্চগড়ের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘জেলায় ৫টি শহীদ পরিবার এবং ৪১ জন আহত যোদ্ধা রয়েছেন। আমাদের অনুরোধ থাকবে, সরকারের পক্ষ থেকে যেসব সুবিধা জনগণের জন্য আসে, সেখানে যেন এই প্রকৃত দাবিদাররা অগ্রাধিকার পান। অনেক পরিবার আছে যাদের চলতে খুব সমস্যা হয়, অনেকে গৃহহীন। তাদের পুনর্বাসন ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও সকল রাজনৈতিক দল যদি একাত্ম হয়ে শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের স্থায়ী আবাসন এবং জরুরি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে, তবে কাজটি অনেক সহজ হবে। সবার সম্মিলিত উদ্যোগেই এটি সম্ভব।’

আলোচনা সভায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।