বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন- লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্টের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেটি মূলত গুজব।
এমনটাই জানাচ্ছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট। তারা বলছে, ভিডিওটি চলতি বছরের জানুয়ারির।
বিজ্ঞাপন
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, ভিডিওটি এখনকার নয়। এর সঙ্গে বর্তমানে তারেক রহমানের দেশে ফেরার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই সময় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনেই ছিলেন।
গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম, ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এবং দেশের কিছু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে গুজব, ভুয়া তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে।
বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার, ‘চব্বিশের আন্দোলন’ এবং এতে অংশ নেওয়া দল ও সংগঠনগুলোকে নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। এসব বিষয়ে প্রমাণও মিলেছে বলে জানায় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো।
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথা শোনা যাচ্ছে, যিনি গত ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে লন্ডনে রয়েছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতারা বহু আগে থেকেই বলছেন, শিগগিরই দেশে ফিরবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও তারেক রহমানের দেশে ফেরার ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো খবর নেই। এদিকে তার মা বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সংকটাপন্ন অবস্থায় দেশের হাসপাতালে ভর্তি।
শেষ খবর অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে লক্ষ্যে দেশে আসছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।
এএইচ
