পাবনায় সংঘর্ষের জন্য জামায়াতকে দুষলেন রিজভী, চাইলেন তদন্ত

বিএনপির বিবৃতিতে দাবি করা হয়, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল স্বয়ং এই আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারকালে জামায়াত নেতাকর্মীরা তাদের সহজাত ধর্মীয় প্রলোভন ও জান্নাতের টিকেট বিক্রির মত আপত্তিকর বিষয়কে নির্বাচনি  প্রচারের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করায় ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ তার প্রতিবাদ করলে জামায়াত কর্মীরা তাদের উপর মারমুখী আক্রমণ করে, পরবর্তীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রচাররত নেতাকর্মীরা অতর্কিতে বিনা প্ররোচনায় তাদের আক্রমণের শিকার হন। 
 
রিজভী দাবি করেন, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে জামায়াতকর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আক্রমণরত দেখা গেছে। অথচ দুয়েকটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করছে। সহিংসতায় এই ঘটনার মাধ্যমে দলটির উগ্রতার নগ্ন চিত্র দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। 
 
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অপরদিকে অযৌক্তিক দাবী দাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা জনগণ প্রত্যাখান করায় মরিয়া এই দলটি এখন সশস্ত্র আক্রমণের ঘৃন্য পথ বেছে নিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। লক্ষ কোটি সমর্থকের দল বিএনপির এই সংযম ও ঔদার্যকে দূর্বলতা মনে করা ঠিক হবে না। শত উস্কানিতেও সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শনে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, কারণ বিএনপি জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হলে দেশের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত গনতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন নিঃশেষিত হয়ে যাবে।
 
রিজভী জানান, বিএনপি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় এনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারী পদক্ষেপের জোর দাবি জানাচ্ছে।

বিইউ/ক.ম