ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, হানাহানি ও সড়ক অবরোধসহ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রামের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বহিষ্কৃতরা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের সীতাকুণ্ড উপজেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুণ্ড পৌরসভার আহ্বায়ক মামুন এবং যুবদলের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার ও জলিল গেট এলাকায় তারা দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, হানাহানি ও রাস্তা অবরোধসহ বিভিন্ন জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন।
এই কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’, ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দি হন। দীর্ঘসময় জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাকে বঞ্চিত করছে। তারা দলের এ সিদ্ধান্ত মানেন না। সেজন্য প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তারা।
এমআর

