সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে এনসিপি, লড়াই হবে ধানের শীষের সঙ্গে: পাটওয়ারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম

শেয়ার করুন:

Patwari
নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। সেখানে বিএনপির ধানের শীষের সঙ্গে এনসিপির শাপলা কলি প্রতীকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে আশা করছেন তারা।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


এর আগে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করে দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা কলি নেওয়ার সম্মতির কথা জানিয়েছে।  

বৈঠকে শাপলা কিংবা কলি যাই দিক দ্রুত এনসিপির নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ইসির কাছে আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

আরও পড়ুন

‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিতে সম্মত এনসিপি

শাপলা কলির ব্যাপারে সম্মতি জানালেও শাপলার দাবি এখনো এনসিপি ছাড়েনি বলে জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ইসি তাদের তালিকা সংশোধন করে অন্য কিছু প্রতীকের সাথে শাপলা কলিও যুক্ত করেছে। কিন্তু এখানে আমাদের পছন্দের তালিকায় প্রথমে রেখেছি শাপলা, দ্বিতীয়ত রেখেছি সাদা শাপলা, তৃতীয় রেখেছি শাপলা কলি।


বিজ্ঞাপন


picture-_20251102_155115242
নির্বাচন ভবনে এনসিপির প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত

পাটওয়ারী বলেন, আমাদের চাহিত প্রতীকের মধ্যে অন্য কোনো দল যদি এটার জন্য (শাপলা কলির) জন্য আবেদন করে, তখন শাপলা প্রতীক নিয়ে একটা সংকট তৈরি হতে পারে। সে জন্য এটা আমরা আবেদনের মধ্যে দিয়ে রেখেছি।

আরও পড়ুন

বিএনপি না জামায়াত, কোন জোটে যাবে এনসিপি?

এনসিপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হয়েছে। আমরা অংশ নিতে চাই। শাপলা কলি নিয়েও আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম শাপলা, ইসি একধাপ এগিয়ে কলি যুক্ত করেছে। এটাকে আমরা পজেটিভভাবে দেখছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে এনসিপি। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে দলটি। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

এ সময় তিনি বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, বাংলাদেশ বাকশাল কায়েম করে ৭২ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে বের করা হয়েছিল, একটি দল এখন আবার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন দলকে নিজেদের প্রতীক বিক্রি করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন যে উদ্যোগ নিয়েছিল সে উদ্যোগের বিপরীতি গিয়ে বিভিন্ন সমঝোতা, বোঝাপড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা ইসিকে বলেছিল, কোনো দলের প্রতীক কোনো নমিশন বাণিজ্যের প্রতীক হতে পারে না।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর