ভোলায় দলের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। তরুণ এই রাজনীতিকের অভিযোগ, বিএনপির একটি গ্রুপ কোনো কারণ ছাড়াই তার দলের নিরীহ নেতাকর্মীদের মারধর করে।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এই অভিযোগ করেন পার্থ। পোস্টে তিনি দলের আহত কর্মীদের কয়েকটি ছবিও যুক্ত করেছেন।
পার্থ লিখেছেন, ‘আজ ভোলা সদরে বিজেপির বিশাল এক নির্বাচনি মিছিল হয়। হাজার হাজার মানুষ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে। জোহরের নামাজের পূর্বে যখন শান্তিপূর্ণ এই মিছিল শেষ হয়, তখন অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী বিজেপির কার্যালয়ে ছিল। ঠিক তখনই ঈর্ষান্বিত হয়ে ৪০০/৫০০ জনের বিএনপির একটি গ্রুপ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নিরীহ নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং পার্টি অফিস ভাঙচুর করে।’
ঘটনাটিকে দুঃখজনক,হতাশাজনক আখ্যা দিয়ে তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। লেখেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে জাতীয়তাবাদী শক্তির সম্মান দেশব্যাপী সাংঘাতিকভাবে ক্ষুণ্ন হবে এবং সমগ্র দেশব্যাপী ভোটে এর প্রভাব পড়বে। অনেক দুঃখজনক ব্যাপারটা। ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই।’
এর আগে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ভোলা সদরের নতুন বাজারে বিজেপির জেলা কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপি ও বিজেপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার পর বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির নেতারা অভিযোগ করেন, বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ মিছিল চলাকালে বিজেপির নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রাইসুল আলম বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হঠাৎই বিজেপির নেতাকর্মীরা ককটেল বোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। সংঘর্ষ এড়াতে আমি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে সরিয়ে আনি।’
তিনি দাবি করেন, বিএনপি সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী, কিন্তু সরকারপন্থি একটি মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে। কয়েক ঘণ্টা না যেতেই পাল্টা অভিযোগ করলেন বিজেপি চেয়ারম্যান পার্থ।
বিইউ/এএইচ

