জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বন্ধ করতে একটি রাজনৈতিক দল গোপন ষড়যন্ত্রে করছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী ড. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘দলটি প্রথমে গণভোটের পক্ষে অবস্থান নেয়নি। পরে জনগণের চাপে পড়ে সমর্থন দিলেও এখন নানা অজুহাতে গণভোটের সময় নিয়ে টালবাহানা করছে।’
শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের গেটে শাহবাগ পশ্চিম থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হয়ে গেলে তারা আর ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম রাখতে পারবে না। তাই সেই ভয়েই তারা গণভোট মেনে নিতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলনের দুই হাজার শহীদ পরিবার এবং ৫০ হাজারের বেশি আহত জুলাইযোদ্ধা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চাই, তবে জনগণ যেভাবে নির্বাচন চায়, জামায়াতও সেভাবেই নির্বাচন চায়। নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।’
হেলাল উদ্দিনের দাবি, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার রাজনীতি করে না, বরং সমাজসেবা ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে আসছে। আমাদের নেতারা দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে জীবন দিয়েছে, নির্যাতন সহ্য করেছে, কিন্তু বিদেশে পালিয়ে যায়নি।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বিদ্যমান নির্বাচনী পদ্ধতিতেই দেশ কলঙ্কিত হয়েছে। পিআর পদ্ধতি চালু হলে কেউ ভোট চুরি করতে পারবে না, মনোনয়ন বাণিজ্য বা কালো টাকার প্রভাবও থাকবে না।
শাহবাগ পশ্চিম থানা নায়েবে আমির ডা. মেসবাহ উদ্দিন সায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ডা. মো. আনোয়ারুল হক, ডা. হাফিজুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন থানা সেক্রেটারি এম. লোকমান হোসেন।
মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পরামর্শ, পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লালমনিরহাটের কাজিউল ইসলামকে দেখতে গিয়ে ব্রেইন টিউমার অপারেশনের জন্য ১ লাখ টাকার চেক অনুদান দেন হেলাল উদ্দিন।
টিএই/এমআর

