শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া অস্পষ্ট: ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া অস্পষ্ট: ইসলামী আন্দোলন

জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ–২০২৫)-এর খসড়ায় অস্পষ্টতা ও দ্ব্যর্থতা বিদ্যমান বলে মন্তব্য করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির মতে, খসড়ার বিভিন্ন ধারা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, খসড়ায় ভাষার গাম্ভীর্য রয়েছে এবং গণঅভ্যুত্থানকে ‘সার্বভৌম ক্ষমতাসম্পন্ন ও জনগণের পরম অভিপ্রায়ের প্রকাশ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রশংসনীয়। তবে কিছু মৌলিক প্রশ্নে এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে, যা আগামীর রাজনীতিকে কঠিন করে তুলবে।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, খসড়ায় কে আদেশ দেবে, তার কোনো স্পষ্টতা নেই। আদেশ জারির কারণ হিসেবে ‘জনগণের জ্ঞাতার্থে ও সাংবিধানিক পরিষদের দায়িত্ব সম্পাদনের সুবিধার্থে’ বলা হয়েছে, যার মানে দাঁড়ায় এটি বাধ্যতামূলক নয়।

ইউনুস আহমাদ আরও বলেন, সমঝোতার স্বার্থে আদেশটিকে সাংবিধানিক আদেশের মর্যাদা থেকে নামিয়ে আনুষ্ঠানিক আদেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে— যা জুলাই ঘোষণাপত্রের মতোই অকার্যকর কাগুজে আদেশে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।

ইসলামী আন্দোলন মনে করে, গণভোট অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। দলটির অভিযোগ, খসড়ায় বলা হয়েছে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গণভোটে অনুমোদিত বিল ‘বিবেচনা করবে’, যা গণভোটের বাধ্যতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

মহাসচিব আরও প্রশ্ন তোলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদ যদি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়, তবে বিল ‘গৃহীত হয়েছে’ বলে গণ্য হবে এবং তা আইন রূপে কার্যকর হবে বলা হয়েছে। কিন্তু কে কার্যকর করবে, সেই নির্দেশনা অনুপস্থিত।


বিজ্ঞাপন


শেষে তিনি বলেন, সভাপ্রধান ও উপসভাপ্রধান নিয়োগের প্রস্তাবিত নীতিতে সরকারদলীয় প্রভাব স্পষ্ট। আমরা মনে করি, উপসভাপ্রধান অবশ্যই বিরোধী দল থেকে নেওয়া উচিত।

এম/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর