রোববার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নাম বদলে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এখন ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪১ এএম

শেয়ার করুন:

নাম বদলে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এখন ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’
নাম বদলে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এখন ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক একাংশের উদ্যোগে গঠিত সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) এখন নতুন নামে পরিচিত হচ্ছে ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। নতুন এই সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী ছাত্র সংগঠন হিসেবে কাজ করবে।

রাজধানীর শাহবাগে আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণবিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে’ নাম পরিবর্তনের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের নতুন নাম ঘোষণা করেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আক্তার সেবন্তি। তবে সংগঠনের নতুন কোনো কমিটি সেদিন ঘোষণা করা হয়নি।


বিজ্ঞাপন


জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অনেক সমন্বয়কই পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) সঙ্গে যুক্ত হন। তবে অভ্যুত্থানের পর সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই আন্দোলনের কিছু সাবেক নেতার উদ্যোগে পুনর্গঠিত হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা নিজেদের এনসিপির ছাত্রসংগঠন বলতে স্বস্তি বোধ করতেন না, বাস্তবে এটি এনসিপির সহযোগী সংগঠন হিসেবেই কাজ করছিল।

দলীয় সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠার আট মাস পর সংগঠনটি প্রত্যাশিত সাড়া ফেলতে পারেনি। বিশেষ করে গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সংগঠনের হতাশাজনক ফলাফলের পর নেতৃত্ব পর্যায়ে পুনর্গঠনের আলোচনা শুরু হয়। এরপর এনসিপির পক্ষ থেকে নাম পরিবর্তন এবং সরাসরি ছাত্রসংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারের সম্মেলনে সেই প্রস্তাবেরই বাস্তবায়ন ঘটে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলামকেও।

অনুষ্ঠানে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি যদি কোনো সময়ে ভুল পথে চলে যায়, ছাত্ররাই সেই ভুল ধরিয়ে দেবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, ছাত্রসমাজই দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশক। গণতন্ত্র রক্ষায় তাদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সম্মেলনে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ছাত্রদেরই এগিয়ে আসতে হবে। নতুন প্রজন্মই রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করবে।

একই অনুষ্ঠানে দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, যারা লোভ সামলাতে পারে না, তাদের এনসিপির কোনো সংগঠনে জায়গা নেই। গণতন্ত্রের পথচলা দীর্ঘ, আর এই যাত্রায় ছাত্ররাই হবে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের শক্তি।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর