জুলাই সনদে বিভিন্ন দল আনুষ্ঠানিকভাবে সই করলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এতে সই করেনি। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, এই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সেই প্রক্রিয়া নিশ্চিত হওয়ার পর তার দল এতে সই করবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাহিদ এই কথা বলেন। এর আগে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
বিজ্ঞাপন
নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সারজিস আলম, সামান্থা শারমিন ও খালিদ সাইফুল্লাহ।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রোডম্যাপ চেয়েছি। মামলাগুলো কী অবস্থা, কত দিনে কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা সম্পন্ন হবে সেটা জানতে চেয়েছি।
আরও পড়ুন
বিএনপি না জামায়াত, কোন জোটে যাবে এনসিপি?
পিআর নিয়ে জামায়াতের আন্দোলন সুচিন্তিত রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে কথা বলেছি। আমরা আমাদের অবস্থান সরকারের কাছে তুলে ধরেছি। জানিয়েছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে হবে সেটা নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা তাতে স্বাক্ষর করবো।
বিজ্ঞাপন
নাহিদ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একটি সাংবিধানিক আদেশ জারি করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটা প্রধান উপদেষ্টাকে করতে হবে। কোনোভাবেই প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে দিয়ে হবে না।
এনসিপির আহ্বাক বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি। ইসি গঠন প্রক্রিয়া ও তাদের বর্তমান আচরণ নিরপেক্ষ হচ্ছে না, স্বচ্ছ হচ্ছে না। সাংবিধানিকভাবে যেভাবে কাজ করার ছিল তা করছে না। কারো প্রতি পক্ষপাত এবং কারো প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। এজন্য ইসি পুনর্গঠন হওয়া প্রয়োজন।
বড় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে পুলিশ ও প্রশাসনে নিজেদের মতো ভাগ-বাটোয়ারা শুরু করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা পরিচিত তারা নিজেদের মধ্যে প্রশাসন, এসপি-ডিসি এগুলো ভাগ বাটোয়ারা করছে এবং নির্বাচনে জন্য তারা যে তালিকা করছে, সরকারকে সেগুলো দিচ্ছে এবং উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকেও সেই দলগুলোর সাথে সেভাবে সহায়তা করছে।’
জেবি

