শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

খালেদাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় গয়েশ্বরের সমালোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২২, ০৬:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

খালেদাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় গয়েশ্বরের সমালোচনা

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণপত্র না দেওয়ায় সমালোচনা করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একটি ধন্যবাদ দিতে পারতেন। আইনমন্ত্রী বললেন, খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে কোনো বাধা নেই। যদি বাধা না থাকে তাহলে খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে বাধা হলো কেন?

শুক্রবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সরকার আমার নেত্রীকে দাওয়াত দিল না, দাওয়াত দিল আমাদের কয়েকজনকে (সাতজন নেতা)। আমরা যদি ওই দাওয়াত কবুল করতাম, তাহলে রাস্তায় হাঁটতে পারতাম?

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়নি প্রমাণ করতে পারলে বিএনপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ দেওয়া হবে বলে জানান গয়েশ্বর। তিনি বলেন, যে প্রকল্পে দুর্নীতি হয়, সেই প্রকল্পের জন্য জনগণ ধন্যবাদ দিতে পারে না। আপনারা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন যে কত টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে। দুর্নীতি হয়নি-এটা প্রমাণ করতে পারলে, ধন্যবাদ দেওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়-এই সিদ্ধান্তে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে অটল থাকার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‌আমরা যদি অতীতের মতো নির্বাচনের ফাঁদে পা না দেই, আমরা যে কথা বলেছি, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন নয়, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন নয়-এই সিদ্ধান্তে যদি শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে পারি, তাহলে শেখ হাসিনা সরকার নেই। তার নির্বাচন করার ক্ষমতা নাই। তিনি ভেল্কিবাজি যা করার করেছেন; নতুন করে ভেল্কিবাজি করার ক্ষমতা নেই। তাই সব রাজনৈতিক দল সবাইকে বলব, আপনারা একটা জায়গায় অটল থাকেন-এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।


বিজ্ঞাপন


সংসদ সদস্য (স্বতন্ত্র) মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন চৌধুরীর এক বক্তব্য প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘এক পাগল দেখলাম জাতীয় সংসদে বলেছে, ড. ইউনূস, বেগম খালেদা জিয়া ও হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিতে। স্যাংশন শব্দের অর্থ বুঝ? খালেদা জিয়াকে জেলে দিয়ে রেখেছে, তাকে আর স্যাংশন কি?’ 

দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ আজ পানিবন্দি উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এসব মানুষের পাশে বিএনপি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই তারা যাচ্ছে।

সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ২০ দলীয় জোটের শরিক ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।

এমই/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর