শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, আত্মসমর্পণ করেছিলেন: দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

dudu
শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি- সংগৃহীত

১৯৭১ সালে শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বরং পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তার দাবি, ‘ঠিক সেই সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি, ৯ মাস রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। শত শহীদের মত তিনিও শহীদ হতে পারতেন, কিন্তু আল্লাহ তাকে জীবিত রেখেছিলেন। তিনি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে আবার তার পেশায় চলে গিয়েছিলেন, রাজনীতিতে আসেননি।’


বিজ্ঞাপন


দুদু বলেন, ‘নানা বিবর্তনের মধ্যে একসময় সিপাহি-জনতা ৭ নভেম্বরে জিয়াউর রহমানকে আবার সামনে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি দেশের হাল ধরেন। তার রাজনৈতিক আদর্শ ও ত্যাগ আজও বাংলাদেশের মানুষকে প্রেরণা দেয়।’

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুরাগ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত আলোচনা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিলেন। তার সহধর্মিণী পরবর্তীতে আপসহীন নেত্রী হিসেবে শুধু জাতির কাছেই নয়, সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া। এই কারণেই আমরা তাকে আপসহীন বলি।’

দুদু বলেন, ‘শত নির্যাতন, শত হামলা-মামলা কোনোটাই খালেদা জিয়াকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ‘এরশাদকে যেতে হবে’—এই প্রতিশ্রুতি তিনি জাতিকে দিয়েছিলেন এবং তা পালন করেছিলেন। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই এরশাদকে বিদায় করা হয়েছিল।’


বিজ্ঞাপন


সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৬ বছর ধরে হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। হাসিনার স্বৈরশাসন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, শয়তানও হয়ত তার তুলনায় কম ভয়ংকর মনে হয়। তাকে বিদায় করার অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘একটি পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ থেকে স্বৈরাচার উৎখাত পর্যন্ত দুটি গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, আরেকটি পরিবার পরিচিত হয়েছে ব্যাংক ডাকাত হিসেবে। শেখ হাসিনা প্রথম ব্যাংক ডাকাত নন, তার পরিবারের একজন মুজিবের জীবদ্দশায়ই এক কুখ্যাত ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ঘটনা শুধু দেশবাসী নয়, সারা বিশ্ব জানে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, গুম-খুন, দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে অচল অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ‘সাচ্চা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ জরুরি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘রাজনীতির সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ রূপ হচ্ছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতিতেই দেশের জীবনব্যবস্থা, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুরাগ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মতিহার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ, অভিনেতা এ বি এম সোহেল রশিদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রুবিনা আলমগীর ও সাংবাদিক আকাশমনি প্রমুখ।

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর