রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রাকসু নির্বাচনের ঠিক আগে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল এবং শিক্ষক হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সংগঠনটির দাবি, পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক হেনস্তার ঘটনা আসন্ন রাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কেমন করে এলো ছাত্রশিবিরের নাম?
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ২ জানুয়ারি পোষ্য কোটা স্থায়ীভাবে বাতিল করে। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হঠাৎ তা পুনর্বহাল করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এর জেরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে ধস্তাধস্তির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে শিবির নেতারা বলেন, আন্দোলন যৌক্তিক হলেও তা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক হওয়া উচিত।
তারা অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষক হেনস্তার দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপানো হচ্ছে। অথচ ভিডিওচিত্রে প্রকৃত দায়ীদের পরিচয় স্পষ্ট।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষায় সমতা ও মেধার মূল্যায়নের পথে কোটাব্যবস্থা বড় বাধা। হাজারো শহীদের ত্যাগ ও আন্দোলনের মাধ্যমে ২০২৪ সালে এ ব্যবস্থা বিলুপ্ত হলেও পুনর্বহাল করা বৈষম্যমুক্ত সমাজের পথে বাধা এবং আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
শিবির নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের চিহ্নিত ও শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি পোষ্য কোটা বাতিল ও যথাসময়ে রাকসু নির্বাচন আয়োজন করে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান।
টিএই/এএইচ
