মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে নতুন শক্তি দাঁড়াবে: ফজলুর রহমান

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে নতুন শক্তি দাঁড়াবে: ফজলুর রহমান
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে নতুন শক্তি দাঁড়াবে: ফজলুর রহমান

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ স্থগিত হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান না নেয়, তাহলে এ শূন্যতা পূরণে অন্য কোনো রাজনৈতিক শক্তি উঠে আসবে। 

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগকেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়াতে হবে, তা নয়। সময় হলে নতুন কোনো শক্তিই সামনে আসবে।


বিজ্ঞাপন


প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে এ বক্তব্য দেওয়ায় ফজলুর রহমানের কথাগুলো রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপি যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আজকের প্রেক্ষাপটে দাঁড়ায়, ভালো। আমি তো আছিই বিএনপিতে। কিন্তু বিএনপি যদি দাঁড়াতে না পারে, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নতুন কেউ দাঁড়াবে। আমি তো পলিটিক্যাল সাইন্সের ছাত্র।

তিনি জানান, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ধারা থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স্পষ্টভাবে উঠে না আসায় রাজনৈতিকভাবে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

ফজলুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগ একটি দলের সম্পদে পরিণত করেছে—এমন প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একাত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে ৭১ ‍শতাংশ ভোট পেয়েছিল। 


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ১৬২ আসনে একাই জিতেছে আওয়ামী লীগ। তাই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের কথা বললে, তারা বলবেই। কিন্তু এরপরেও শেখ মুজিব মওলানা ভাসানীর পায়ে ধরে সালাম করে বলেছিলেন—হুজুর, আমার সঙ্গে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, মওলানা ভাসানীই প্রথম শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলেন এবং জানান, তিনি তার সঙ্গে থাকবেন।

জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াত বলেছে, মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের দালাল। তাদের বলা হয়েছে দুষ্কৃতকারী। যখন টিক্কা খান ঢাকায় তিন দিনে পাঁচ লাখ লোক হত্যা করল, তখন গোলাম আজম গিয়ে তার পা ধরে সালাম করে বলেছে—হুজুর, আমি আপনার সঙ্গে আছি। ইতিহাসে সেই ছবিও আছে।

নিজের দল বিএনপির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার দলের রাজনৈতিক শিষ্টাচার যদি থাকে, তাহলে আমাকে নেওয়া উচিত ছিল। আমি তো বলছি, আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমাকে তো কেউ বলেনি, আপনি এই ভুলটা করেছেন। শুধু বলা হলো, আমি কুরুচিপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েছি। অথচ সেই বক্তৃতার পর আপনারা আমাকে আবার চ্যানেলে ডাকলেন।

তিনি বলেন, আমি শিষ্টাচার চাই না, আমি চাই ন্যায্যতা। আমি তো দলের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। আমি ইতিহাস বলেছি, মুক্তিযুদ্ধের সত্য বলেছি।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর