শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বিএনপি ভোটে অংশ নেবে, বিশ্বাস কাদেরের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২২, ০৭:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএনপি ভোটে অংশ নেবে, বিশ্বাস কাদেরের

বিএনপি নেতারা নানা কথা বললেও শেষ সময়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে বলে বিশ্বাস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। তিনি বলেছেন, ‘আমরাও (আওয়ামী লীগ) একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। সে কারণে একটি বড় দল (বিএনপি) বাইরে থাকবে এটা আমরা চাই না।’

মঙ্গলবার (২৮ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি—আমার বিশ্বাস যে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। আমরাও চাই একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ইলেকশন। সে কারণে বিএনপির মতো একটা বড় দল বাইরে থাকবে, এটা আমরা চাই না। আমরা চাই তারা আসুক।’

দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন শেষ বেলায় হলেও বিএনপি তাদের অবস্থান বদলাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) অনেক কথাই বলে, শেষ পর্যন্ত আসল কথায় চলে আসে। আমি একটা কথা বলি, নির্বাচনে অংশগ্রহণ এটা বিএনপির অধিকার। সরকারের সুযোগ বিতরণ না। এটা একটা সুযোগ নয় যে, সরকার বিতরণ করবে। এটা হচ্ছে বিএনপির অধিকার। দল হিসেবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনে তারা আসবে, আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’

বিএনপির ভোট বর্জনের আগাম ঘোষণা নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে শুনি ফখরুল সাহেব যখন বলেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। ইলেকশন তো এই সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশন হবে ইলেকশন কমিশনের অধীনে। যে যে সহযোগিতা, ফ্যাসিলিটিজ দরকার, সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস আমরা আগেও দিয়েছি, এখনো আমরা নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দিয়েছি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’


বিজ্ঞাপন


নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে হয়, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার সেটাই অনুসরণ করবে।’

বিতর্কিত কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার নিয়োগসহ একগুচ্ছ দাবির কথাও বলেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনে বিএনপি অংশ না নেয়ার প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতুতেও (বিএনপিকে) দাওয়াত দিয়েছি। দেখেন আমাদের একটা পজেটিভ এটিচিউড আছে। সে কারণে আমরা তাই করি। তারা (বিএনপি) নিজেরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে। হয়তো শেষ বেলায়। ঘোলা করে খাবে আরকি।’

এর আগে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে ইভিএমে ভোটের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইভিএমের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার এবং স্পষ্ট। মন থেকে চাই, চেতনা থেকে চাই। ৩০০ আসনে ইভিএম হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা সাপোর্ট করি।’

ইভিএম নিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের বিরোধিতাকে স্বাগত জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখানে আসছে, আমার মনে হয় অধিকাংশই ইভিএমের পক্ষে বলেছে। ইভিএম নিয়ে বিরুদ্ধেও বলেছেন দুয়েকজন। এটা তো গণতন্ত্র। বিউটি অব ডেমোক্রেসি। বিরুদ্ধে তো বলবেই। ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেটা তো কোনো অসুবিধা নেই।’

৩০০ আসনে নির্বাচন করতে কি ইসি সক্ষম?-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দ্যাট ইজ দ্যা ডিসিশন অব ইলেকশন কমিশন। এটা তাদের এখতিয়ার।’

ভোটারদের মধ্যে ইভিএমের জনপ্রিয়তা আছে বলেও মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা যখন দেখেছি একটা ইউনিয়নের ইলেকশনে রাজশাহীর একটা ইউনিয়ন একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের, সেখানে দিনের আলোও ঠিক মতো যায় না। ঠিক এই রকম একটা জায়গাতেও তো ইভিএমে ইলেকশন হয়েছে। অংশগ্রহণ ছিল বিশ্বাসযোগ্য না এ রকম। প্রচুর উপস্থিতি এবং মহিলারা পর্যন্ত লম্বা লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছে। কাজেই ইভিএম অজনপ্রিয় এ কথা বলার আর এখন কোনো প্রয়োজন নেই।’

প্রতিনিধি দলে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান অংশ নেন।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর