গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দলের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিলে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। মিছিলটি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
ফারুক হাসান অভিযোগ করে বলেন, “সরকার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। হামলাকারীরাও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। সরকারের প্রতারণামূলক আচরণের কারণে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের দেওয়া ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছি। নুরুল হক নুরকে দলীয় ও পারিবারিক উদ্যোগে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে।”
ফারুক হাসান বলেন, সরকারের কাছে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, “নুরুল হক নুর শুধু একজন নেতা নন, তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক ও জীবন্ত কিংবদন্তি। তার ওপর হামলার বিচার না হওয়া মানে গণঅভ্যুত্থানের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যখন আওয়ামী লীগ সরকার ড. ইউনুসকে হয়রানি করেছে কিংবা মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে, তখন নুরের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে নেমেছি। অথচ আজ নুর হামলার শিকার হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার করছে না। ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও বিচার না হওয়া বিস্ময়কর।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম। এতে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, যুব অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, দফতর সম্পাদক সবুজ সেরনিয়াবাত, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন নুর, মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হিরণ শেখ, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীন এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
এম/ক.ম
