একাত্তর সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীকে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, দয়া করে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করুন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে আসুন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জয়নুল আবদিন ফারুক এসব বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৬ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছতে পারেনি। পাথর মেরে ছবি ভেঙে ফেলা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলা যায় না।
শুধু শেখ হাসিনা নয়, শেখ মুজিবের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি মন্তব্য করে ফারুক বলেন, দিল্লির প্ররোচনায় বাংলাদেশের কিছু লোক যদি আবারও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে এই ইউনুস সরকারের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেন, তাহলে জনগণ প্রতিহত করবে।
বিএনপি চেয়াপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, তারেক রহমানের যে আত্মত্যাগ, ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট (অন্তর্বর্তী সরকার) যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে, তাহলে তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনসহ অনেকে।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/ক.ম

