নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। অন্যদিকে ডাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র, নারী হেনস্থা, চবি ও বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অব্যাহত মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আজ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে শাহবাগে এই কর্মসূচি পালন করবে শিবির।
এর আগে, সোমবার ছাত্রদলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির প্রার্থিতার বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারী নারী শিক্ষার্থীকে শিবির নেতা কর্তৃক প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্তা এবং শিবিরের নেতাকর্মীদের দ্বারা সারাদেশে নারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অব্যাহত সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বিজ্ঞাপন
গতকাল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ছাত্রশিবিরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ছাত্রদলের প্রচারিত বিবৃতি ভিত্তিহীন, মনগড়া এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নিজেদের দায় এড়াতে তারা শিবিরকে জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, অতীতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার হয়রানি, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িত ছিল। উদাহরণ হিসেবে ২০০২ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন্নাহার সনি হত্যা এবং একই বছরে ঢাবির শামসুন্নাহার হলে শতাধিক নারী শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখ করে শিবিরের নেতারা দাবি করেন, ‘যে সংগঠনের ইতিহাস এমন অপরাধে কলঙ্কিত, তারা এখন নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে বড়াই করছে।
ছাত্রশিবির আরও জানায়, অভিযুক্ত আলী হুসেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তারাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দিয়েছে। সংগঠনটির দাবি, নারী শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সবসময় কঠোর অবস্থানে থেকেছে।
এর আগে, বামপন্থি সমর্থিত প্যানেল ‘অপরাজেয় ৭১’ ও ‘অদম্য ২৪’-এর প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করেন। পরবর্তিতে আদলত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের রায় দিলে ঢাবির শিক্ষার্থী আলী হুসেন ফেসবুকে ওই নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিকমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। তবে আলী হুসেন তার ফেসবুক পোস্টের জন্য ক্ষমা চেয়ে জানান তিনি কোনো ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত নন।
বিজ্ঞাপন
টিএই/এইউ

