কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শরীফুল আলমের বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন। পরে তিনি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি অভিযোগ করেন, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শরীফুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগী মিলে গত বছরের ১১ আগস্ট মরহুম মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেনের ২৪ একর ৮৪ শতাংশ জমি দখল করেছেন। এই জমিগুলো আগে আওয়ামী লীগের পৌর সভাপতিসহ অন্যরা দখল করে রেখেছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করে সেই জমিগুলো দখলে নেন বিএনপির জেলা সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার আগে তিনি স্থানীয় থানা কুলিয়ারচরে যান। মামলা করতে চাইলেও থানা পুলিশ কোনো মামলা নেয়নি। বিষয়টির সুরাহা চান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী বেলায়েতের ছেলে মোশারফ জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের নাজিরদিঘী গ্রামে তার বাবার কাছ থেকে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৪ একর ৮৪ শতাংশ জমি রয়েছে। যার জন্য এখন পর্যন্ত সরকারকে তিনি ৬ লাখ ৭০ হাজার ৮৮৮ টাকা খাজনা দিয়েছেন। গত বছরের ১১ আগস্ট কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর উপজেলা বিএনপির সমবায় সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন তাকে কল করেন। পরে তাকে জেলা বিএনপির সভাপতির বাসার নিচে ডাকা হয়। তিনি গেলে তাকে জানানো হয়, তাদের ২৪ একর ৮৪ শতাংশ জমি তারা দখলে নিয়েছেন। এ কারণে সেই জমিতে তারা যেন আর কখনো না যান। এসব বলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। কথা না শুনলে তাকে ও অন্যদের মেরে ফেলতেও তারা দ্বিধাবোধ করবে না। এরপর তিনি বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জানান। কিন্তু এখনো কোনো সমাধান পাননি।
তবে তারেক রহমান এই ঘটনার বিচার না করলে এবং তাদের জমি ফেরত না দেওয়া হলে তিনিসহ পুরো পরিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে জীবননাশ করবেন বলে জানান।
এমআইকে/জেবি

