বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের একটি বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সব মহলে বিতর্ক তুঙ্গে। ইতোমধ্যে ওই বক্তব্যের জন্য তাকে দিল থেকে শোকজ করা হয়েছে।
এবার বিতর্কিত ওই বক্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান। তার দাবি, দলীয় প্রশ্রয়ে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন মহিউদ্দিন খান।
ফেসবুক পোস্টে এই শিবির নেতা লিখেছেন, ‘দায়মুক্তির কালচার থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে ক্ষমতার আশপাশে থাকা ব্যক্তিরা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। জুলাই অভ্যুত্থানের নেপথ্যে কালো শক্তির যে বয়ান ফজলু দাঁড় করাচ্ছেন, গত এক বছর ধরে সেটা সরাসরি আওয়ামী বয়ান।’
তিনি লেখেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা যখন কোনো কথা বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে দায়মুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের সফলতার পেছনে আছে হাজারো শহীদ, আহত আর সংগ্রামী মানুষেরা। সবার শাহাদাত এবং ত্যাগকে ‘কালো শক্তি’ বলার দুঃসাহস এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থেকে যদি কেউ করে, তাহলে আমাদের ধরে নিতে হবে সে দলীয় প্রশ্রয়েই এমন স্পর্ধা দেখিয়েছেন।’
বিজ্ঞাপন
মহিউদ্দিন খান তার পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘এটা যদি বিএনপির অফিশিয়াল বক্তব্য না হয়, তাহলে ফজলুকে দায়মুক্তি না দিয়ে বহিষ্কার করবে বলে আমরা আশা রাখি।’
যা বলেছিলেন ফজলুর রহমান
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘৫ আগস্টের আন্দোলন পরিচালনায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে।’
তার ভাষায়, ‘যারা ৫ আগস্টের ঘটনার জন্য দায়ী, তারা কোনো রাজনৈতিক নেতা নয়, তারা কেবল অভিনেতা। দেশের মানুষ এখন বুঝে ফেলেছে, এরা রাজাকারের বংশধর, কালো শক্তি। তারা অর্থ-বিত্ত দিয়ে তরুণ সমাজকে প্রলুব্ধ করছে।’
এদিকে, বছর খানেক ধরে ফজলুর রহমানের এমন লাগামহীন বক্তব্যের পর অবশেষে তাকে শোকজ করেছে বিএনপি। রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে তাকে শোকজ করা হয় বলে দলটির প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে।
নোটিশে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফজলুর রহমানকে লিখিত জবাব দিতে হবে। এর বাইরে বিএনপির এই নেতার বক্তব্যের জেরে তার বহিষ্কার ও শাস্তি চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভও হয়েছে।
এএইচ
