সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

তারেক রহমানই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

Mirza
ড্যাবের কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তারেক রহমানই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী বলে জানান দিলেন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৯আগস্ট) দুপুরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান।


বিজ্ঞাপন


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে পারস্পরিক হিংসার একটি কালচার তৈরি হয়েছে, যা আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধ্বংসাত্মক সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি সরকারের বিভিন্ন নীতি, বিশেষ করে ওষুধশিল্প নীতিসহ অন্যান্য নীতিমালার সমালোচনা করে বলেন, ‘শুধু ভোটের অধিকার নিশ্চিত করলেই হবে না, মানুষের মৌলিক ও সব অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে। জনগণ যেন রাষ্ট্রের সেবা পায় এবং তাদের জীবনমান উন্নত হয়, সেটিই প্রকৃত উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’

এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আহতরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে লড়াই করেছেন, তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে।’

ঔষধনীতি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওষুধ নীতি বিশেষ করে যারা ওষুধ তৈরি করেন ম্যানুফ্যাকচারার্স, তারা দুদিন আগে আমার কাছে এসেছিলেন, দেয়ার ইন সিরিয়াস ক্রাইসিস। বর্তমান সরকারের যিনি সহকারী উপদেষ্টা আছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের, তিনি এমন কতগুলো ব্যবস্থা বা আইন দিচ্ছেন যাতে করে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই বিষয়গুলো কিন্তু আমাদেরকে এড্রেস করতে হবে।’


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ‘আজকে যে এখানে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি, এই ইন্ডাস্ট্রিটা পৃথিবীর সঙ্গে কম্পিটিশন করছিল, বাইরে এক্সপোর্ট করছিল, এখন তারা বলছে, আমাদেরকে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে হবে। অর্থাৎ এই সরকারের নীতিগুলো এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব যে ৩১ দফা দিয়েছেন, এই জাতির সব চাইতে প্রয়োজনীয় যে দফাগুলো দিয়েছেন, সেখানে তিনি যেভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন, তা যুগান্তকারী।’

একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বলতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার অনেক বয়স হয়ে গেছে। আমরা দেখতে চাই, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নয়, বাংলাদেশে শুধু মানুষের ভোটের অধিকার নয়, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার। অন্নের অধিকার সব কিছু নিশ্চিত করতে হবে।’

নির্যাতিত চিকিৎসকদের অবদান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলন চলার সময় আমাদের অনেক চিকিৎসককে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, জাতি আপনাদেরকে সম্মান জানাচ্ছে যে, আপনারা ওই সময়ে ঝুঁকি নিয়ে আহতদের চিকিৎসা করেছেন, সেটা জাতি কোনোদিন ভুলবে না।’

কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে ড্যাবের এই জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিইউ/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর