যে এক দফার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছিল, সেটির প্রকৃত ঘোষক দেশের জনগণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এনসিপির সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
নাহিদ বলেন, ‘আজ ঐতিহাসিক ৩ আগস্ট। ঠিক ৩৬৫ দিন আগে শহীদ মিনারে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে সমবেত হয়েছিল। এখান থেকে সেই ঐতিহাসিক এক দফা ঘোষণা করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠির পক্ষ থেকে এক দফা ঘোষণা করা হয়নি। এক দফার কোনো একক ঘোষক নেই। তাই এক দফার একমাত্র মালিক বা ঘোষক হলো এ দেশের জনগণ।’
এসময় সংবিধান ও সেকেন্ড রিপাবলিক গঠনসহ ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন নাহিদ। সেগুলো হলো-
১. নতুন সংবিধান ও সেকেন্ড পাবলিক;
২. জলুাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও বিচার;
৩. গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার;
৪. ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কার
৫. সেবামুখী প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন;
৬. জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী;
৭. গ্রাম পার্লামেন্ট ও স্থানীয় সরকার;
৮. স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ;
৯. সার্বজনীন স্বাস্থ্য;
১০. জাতি গঠনে শিক্ষানীতি;
১১. গবেষণা, উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব;
১২. ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতিসত্ত্বার মর্যাদা;
১৩. নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন;
১৪. মানবকেন্দ্রিক ও কল্যাণমুখী অর্থনীতি;
১৫. তারুণ্য ও কর্মসংস্থান;
১৬. বহুমুখী বাণিজ্য ও শিল্পায়ননীতি;
১৭. টেকসই কৃষি ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব;
১৮. শ্রমিক-কৃষকের অধিকার;
১৯. জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা;
২০. নগরায়ন, পরিবহন ও আবাসন পরিকল্পনা;
২১. জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা;
২২. প্রবাসী বাংলাদেশির মর্যাদা ও অধিকার;
২৩. বাংলাদেশপন্থী পরাষ্ট্রনীতি;
২৪. জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল।
বিজ্ঞাপন
এএসএল/এএইচ

