শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বর্তমান ইসি মেরুদণ্ডহীন: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

বর্তমান ইসি মেরুদণ্ডহীন: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। দিন যতই যাচ্ছে এ কমিশন মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়ছে। ইসির কোথায় কোথায় সমস্যা আমরা তা জনগণের সামনে প্রকাশ করব।

রোববার (০৩ আগস্ট) সিইসির সঙ্গে বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দিন দিন দেখতে পাচ্ছি-ইসির অধিকাংশ অঙ্গ জুড়ে হলো সামরিক উর্দি পরা পোশাকে এবং বাকি যতটুকু যারা আছে তারা দলীয় পোশাকে আবৃত। এখনও ইসিকে ভুল ধরিয়ে দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি।

তিনি অভিযোগ করেন, আগে ছিল ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে; এবার নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতিত্বের’ ইঙ্গিত দিয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি দল ছাড়া অন্য কেউ ভোট নিতে আসে, তাহলে সেখানে তারা সমস্যার সৃষ্টি করবে। এ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। ইলেকশন কমিশন এ পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। অর্থাৎ আমরা গত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আর এখন যদি কেউ ভোট নিতে যায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়, সে প্রক্রিয়া তারা বাধাগ্রস্ত করছে। দিন দিন এ ইলেকশন কমিশনকে দেখতে পাচ্ছি, ততই বুঝতে পারছি যে এটা মেরুদণ্ডহীন একটা ইলেকশন কমিশন।

‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সাংবিধানিক যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে ইলেকশন কমিশন একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন প্রেসেসে গেছে এনসিপি, আবেদন জমা দিয়েছি,’ বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


ইসির বিরুদ্ধে সার্বিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা কথা উল্লেখ করে বলেন, সামনে এটার কোথায় কোথায় সমস্যা জনগণের সামনে আমরা উদঘাটন করছি। জনগণের সামনে আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে ইলেকশন কমিশন যে একটা মেরুদণ্ডহীন সেটা আস্তে আস্তে প্রকাশ পাবে ইনশা আল্লাহ।... আমরা তাদেরকে এখনও সুযোগ দিচ্ছি; তাদের সে শুভোদয় হোক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসুক; ভোট নেওয়ার প্রসেসকে শুরু করে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেওয়ার জন্য সচেষ্ট হোক।

এই ইসির অধীনে ভোটের যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা আপাতত যে অবস্থায় আছি, সেটা বলেছি। ভোট গত ১৫ বছরে দিতে পারেনি, ভোট নেওয়ার সিস্টেম নেই। আমি ভোট নিতেই না পারি, জনগণ যদি আমাকে ভোট দিতে আসে, আর আমাকে যদি ভোট নেওয়ার জন্য বাধাগ্রস্ত করা হয়; সেখানে যখন আমি বুঝবো আমাকে ভোট নিতে দেবে না, সেখানে গত ১৫ বছরে অনেকে অংশগ্রহণ করেনি। আমাকে ভোট না দিতে (নিতে) দেয় তাহলে কেন অংশ নেব আমরা? এটা এখনও এন্ডিং প্রসেসে আসেনি।

ইসির বিরুদ্ধে দলীয় পক্ষপাতিত্ব থাকলেও সামনে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এটা প্রতিনিয়ত তাদের সাথে দেখা করছি, কথা বলছি। ভুল দেখিয়ে দিচ্ছি। তাদের কারেকশনের সুযোগ দিচ্ছি। এটা অতীতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করেছি, তখন আমরা সুযোগ দিয়েছি; আপনার কারেকশন হোন, আপনারা গুলি করবেন না। ইলেকশন কমিশন যদি সামরিক উর্দি পরে, দলীয় উর্দি পরে তার মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিতে চান এবং ভোট না দিতে চায়; তাহলে ফাইনালি এ সিদ্ধান্তে যেতে আমরা বাধ্য হবো।

এক প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘...আমরা আপনাদের সামনে হিন্টস দিয়ে যাচ্ছি, এইবার ইসির মাধ্যমে ভোট নেওয়ার অধিকার, আগে ছিল ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে; এবার নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমরা এখনও ধৈর্যহারা হইনি।’

এমএইচএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর