বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে একটি স্পষ্ট ও সময়বদ্ধ রোডম্যাপ চেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
দলটি বলেছে, অনেক প্রবাসী ভোট দিতে আগ্রহী হলেও ভোটার নিবন্ধন ও ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় তারা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩০ জুলাই) নগরীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে তাদের দাবির কথা জানায় এনসিপি।
বৈঠকে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা এবং এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্সের গ্লোবাল কো অর্ডিনেটর তারিক আদনান মুন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যোগাযোগ করছেন। তারা উষ্মা প্রকাশ করছেন তাদের ভোটাধিকার নিশ্চয়তা নিয়ে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো আপডেট মিলছে না। কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা বলেছেন, প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে সংশয় আছে।’

বিজ্ঞাপন
এনসিপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেন প্রতি সপ্তাহ অন্তর অনলাইন ব্রিফিং করেন। সেটির মাধ্যমে প্রবাসীরা আপডেট জানতে পারবেন। আমাদের প্রবাসী ভাইবোনেরা ভোট দিতে চায়। তারা একটাও আপডেট পান না। তাদের মধ্যে অনেকের এনআইডি নাই। তারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত না। তাদের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন বলছে, ১৪টা দেশে নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। কিন্তু যে দেশগুলোতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে বলা হচ্ছে, সেই দেশেরই অনেকে আমাদের জানাচ্ছেন, তারা জানেন না কিভাবে এটা করবেন।’
খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, ‘এজন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এসে বলেছি যে, তারা যেন সুনির্দিষ্ট একটা রোডম্যাপ আমাদেরকে জানান। যাতে করে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়। এছাড়া আরও ছোট ছোট কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে।’
নিবন্ধন এবং প্রতীকের বিষয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছি, এটা আমাদের লিগ্যাল আর্গুমেন্ট। আমরা মনে করি, আমরা এটা পাওয়ার যোগ্য। আমাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে ৪৩ হাজার পাতার ডকুমেন্ট আছে, সেগুলো আমরা এখানে দিয়েছি।’
খালেদ সাইফুল্লাহ আরও বলেন, ‘তবে কিছু জায়গায় ছোট ছোট টেকনিক্যাল বিষয় উনারা (ইসি) উল্লেখ করেছেন। সেই জায়গাগুলো আমরা ঠিক করে আবার ডকুমেন্ট জমা দেব। আমাদের ডেডলাইন ৩ আগস্ট, তার আগেই আমরা এটা জমা দেব।’
এমএইচএইচ/এএইচ

