১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ যদি ক্ষমা চায় তবে তাদের শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এবি পার্টিকে উদ্দেশ্য করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জামায়াতকে অনুরোধ করেন জন সাধারণের সামনে আবারও ক্ষমা চাইতে। মানবতা বিরোধী অপরাধ তারা তো আর করেনি। পিতৃ পুরুষরা করেছেন।
বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মান্নান হলে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বন্যা ও জলাবদ্ধতার দায় সরকারের’ শীর্ষক এ নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে এবি পার্টি।
বিজ্ঞাপন
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জামায়াত নেতা গোলাম আজমের সঙ্গে আমার একদিন কথা হয়েছিল। আমি উনাকে বলেছিলাম, ভুল হয়েছে ক্ষমা চান না কেন? তিনি বললেন, ক্ষমা তো একবার চেয়েছি। আমি বললাম, আমি তো দেখি নাই। তখন তিনি বললেন আবার চাইতে পারি। আমার মনে হয় তিনি বেঁচে থাকলে ক্ষমা চাইতেন। জামায়াত ক্ষমা চাইলে তাদের শক্তি আরো বৃদ্ধি হবে। সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব দলকেই শরিক হতে হবে। এতে আন্দোলনের শক্তি বাড়বে।
সিলেট সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, হঠাৎ অতর্কিতভাবে ভারত থেকে আসা পানিতে সুনামগঞ্জ, সিলেট ডুবে গেছে। বাংলাদেশকে না জানিয়ে গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে। এখানে আমাদের যে কূটনীতিক সমাধান প্রয়োজন সেটি আমরা করতে পারিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পদ্মার পাড়ে ১০ লাখ লোক জমায়েত করে অর্থ অপচয় না করে সিলেট অঞ্চলের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এতে ওই অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় রোধ করা যাবে। তিনি আরো বলেন, সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব দলকেই শরিক হতে হবে।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন দলের আহবায়ক ও প্রাক্তন সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, নদী বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ইনামুল হক, গণ ফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা ও মানবাধিকার কর্মী রুবী আমাতুল্লাহ প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
টিএই/ একেবি
