সারাদেশ যখন মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তাল, বিএনপির ভেতরে-বাইরে এ নিয়ে চরম অস্বস্তি, ঠিক তখনই রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফাটানো হলো ককটেল। তাও একটি নয়, তিন তিনটি।
শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১০টার কাছাকাছি সময়ে এই ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা ফাটাল এই ককটেল, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা বিএনপির কেউ।
বিজ্ঞাপন
গণমাধ্যমকে ককটেল বিস্ফোরণের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আমীন।
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। কে বা কারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং তদন্তপূর্বক জানার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে বিএনপির নির্বাহী সদস্য (দফতরে সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী জানিয়েছেন, ‘দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।’
জানা গেছে, ককটেল বিস্ফোরণের এই ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ ঘটনায় পথচারী ও বাসযাত্রীদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যার ঘটনায় সারাদেশ উত্তাল। অভিযোগের তির স্থানীয় যুবদলের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছেন। কয়েকজনকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে শনিবার সারাদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তাদের দাবি, এই ঘটনা নিয়ে কয়েকটি দল রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।
মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা নিয়ে লন্ডন থেকে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। কয়েক ঘণ্টা না যেতেই রাতে দলটির কার্যালয়ের সামনে ফাটল ককটেল।
এএইচ
