অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতেই দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে বলে আশা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ‘রাইট ট্র্যাকে’ উঠবে বলেও মনে করেন তিনি।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিন সকাল ১০টায় সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপি মহাসচিব। পরে তিনি হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজারও জিয়ারত করেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে-এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা সবাই আশাবাদী যে, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশ–জাতি গণতন্ত্রে ফিরে যাবে। জনগণের যে গণতন্ত্রের অধিকার, সেটা প্রতিষ্ঠিত হবে। যেটাকে আমরা বলি রাইট ট্র্যাক, দেশ সেখানে উঠবে বলে মনে করি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই-সংগ্রাম করেছি। প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ১ হাজার ৭০০–এর ওপরে মানুষকে গুম করা হয়েছে। সিলেটের অত্যন্ত সাহসী নেতা ইলিয়াস আলীও গুম হয়েছেন। তারপর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘ইতোমধ্যে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের যে বৈঠক হয়েছে, সে বৈঠকে তো ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটা মোটামুটি আলোচনা হয়েছে।’ সরকার সেই সময়েই নির্বাচন দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিজ্ঞাপন
মাজার জিয়ারত শেষে বিএনপি মহাসচিব বেলা ১১টার দিকে সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় যোগ দেন।
বেলা দুইটায় দলের মহাসচিব নগরের একটি হোটেলে জুলাই-আগস্টে সিলেট জেলায় শহীদ বীর সন্তানদের পরিারের সদস্যদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ফখরুলের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল মাহমুদ টুকু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
সিলেটের নেতাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেবি

