আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তবে যেনতেন নির্বাচন জামায়াত চায় না বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এফএসডিএস) আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের দলের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যেনতেন নির্বাচন চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, যেনতেন নির্বাচন চাই না বলতে নির্বাচন চাই না- বিষয়টা এমন নয়। এটা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, সন্দেহ তৈরি করা হচ্ছে। আর যেনতেন নির্বাচন যদি কেউ চান, আমরা তাদেরও চাই না। কারণ এমন নির্বাচন যারা করেছিল তাদের আমরা বিতাড়িত করেছি।
মতানৈক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মাঝে মতানৈক্য থাকবেই। আমরা ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতে নির্বাচনের বদলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই, এটা আমাদের দলীয় এজেন্ডা। এর মানে নির্বাচন বানচাল নয়।
একই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা বক্তব্য দেন।
বিজ্ঞাপন
সংলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কোনো অনৈক্য তৈরি হয়নি। নির্বাচনের আগে সব সমস্যার সমাধান করা হবে, এই ধারণা ঠিক না। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা থাকতেই পারে, অনৈক্যের কিছু নাই। ঐক্যের একমাত্র পথ হচ্ছে গণতন্ত্র।
খসরু বলেন, নির্বাচন ব্যতীত কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। জাতীয় নিরাপত্তা সংসদে আলোচনার বিষয়। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে আবারও গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে। রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তনের জন্য একটি জাতীয় ঐক্যের সেটেলমেন্টে যেতে হবে।
নুর বলেন, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী কিংবা পররাষ্ট্রনীতিও পরিবর্তন হয়। সুতরাং আমাদের এখানে একমত হতে হবে, কোন কোন জায়গায় ঐক্য থাকবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কামব্যাক না করার প্রশ্নে সবাইকে পরিষ্কারভাবে অবস্থান নিতে হবে। অন্যথায় তারা কিন্তু বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশে এখন যেই নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে সবচেয়ে জরুরি জাতীয় নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকার।
জেবি