সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

‘আগামী নির্বাচনে জনগণ ইসলামি দলগুলোর বিজয় দেখতে চায়’

জেলা প্রতিনিধি, চাঁদপুর
প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

khelafot
খেলাফত আন্দোলনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ছবি: ঢাকা মেইল

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ নির্বাচন চায়। বিগত কয়েকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ দেশের জনগণ তাদের মেনে নিতে পারেনি। বিগত সরকারের আমলের ভয়ংকর চিত্রের কথা সবার জানা রয়েছে। আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসার চিন্তা করছে তাদের কর্মকাণ্ড হয়ত আরও ভয়ংকর হবে। সাধারণ মানুষ এখন বিষয়গুলো চিন্তা করছে ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে- আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা ইসলামি দলগুলোর বিজয় দেখতে চায়।

রোববার (৬ জুলাই) সকালে চাঁদপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন তিনি সদরের বাগাদী নানুপুর চৌরাস্তা চাঁদপুরজমিন কমিউনিটি সেন্টারে সংবর্ধনা ও চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দেন।


বিজ্ঞাপন


মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি নারী অধিকার সংস্কার। সংস্কারের নামে যে প্রস্তাবনা এসেছে, তা জাতি জানতে পেরেছে, উলামায়ে কেরামগণ এর প্রতিবাদ করছেন। এটা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে এ দেশের মুসলমান বলতে কিছু থাকবে না।

খেলাফত আন্দোলনের আমির বলেন, সংস্কার কাদের নিয়ে হবে? আমরা মনে করি সংস্কার কমিশনের আগে সংস্কার জরুরি। সংস্কারের পর ধাপে ধাপে সংস্কার করতে গেলে দেশের অবস্থা খারাপ হবে। সংস্কার ও দরকার নির্বাচন ও দরকার। আমরা মনে করি ঐক্যবদ্ধভাবে সকল রাজনৈতিক দল একত্রে বসলে আমরা কী ধরনের নির্বাচন আশা করি তা জানলে হয়তো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায়। ধাপে ধাপে বসে প্রস্তাব নিলে সঠিক সংস্কার হবে না।

পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্প্রতি এ ব্যাপারে অনেক কথা উঠছে। আমি মনে করি এটিকে সমর্থন করার মতো। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সকল ভোটারের ভোটের ফল এখানে নিশ্চিত হবে। নির্বাচন হলে দেখা যায়, ৩০০ আসনে চার হাজার প্রার্থী থাকে। কিন্তু নির্বাচিত হয় ৩০০ জন। অপরদিকে বাকি প্রার্থীকে যারা ভোট দিয়েছে সেটি কোনো কাজে লাগে না, এটি হতে পারে না। তাই পিআর পদ্ধতি সকল ভোটারের ভোট কাজে লাগবে। যেহেতু আমাদের দলে নীতি-নির্ধারক অনেক নেতৃবৃন্দ আছেন, তাই তারা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার মত হচ্ছে পদ্ধতিটি থাকলে ভালো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও  খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন, খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সফিকুল ইসলাম‌।


বিজ্ঞাপন


এছাড়াও জামিয়া ইয়াহইয়াউল উমুল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা তৈয়বুর রহমান, খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার নায়েব আমির মনিরুজ্জামান, নায়েবে আমির মনোওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন ভোলা জেলার প্রচার সম্পাদক শাহিন আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর