সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

যাত্রাবাড়ীতে স্নাইপার দিয়ে গুলি, আঘাতের চিহ্ন দেখালেন ছাত্রদল সভাপতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

যাত্রাবাড়ীতে স্নাইপার দিয়ে গুলি, আঘাতের চিহ্ন দেখালেন ছাত্রদল সভাপতি

জুলাই আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিভিন্ন ভবন থেকে স্নাইপার দিয়ে গুলি ছোড়া হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। সেদিন নিজেও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি একটি জাতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


রাকিব বলেন, ওইসময় জুম মিটিং ডেকে তারেক রহমান আমাদের স্পষ্ট নির্দেশনা দিলেন, তোমাদের আগে নির্দেশনা দিয়েছি কোটা সংস্কারের পক্ষে থাকার। কিন্তু এটা এখন আর কোটা সংস্কার না, এটা এখন এক দফা। ছাত্রলীগ আজকে যে হামলা করেছে, এক দফার বাইরে কোনো কিছু হবে না। বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ কর, তাদেরকে সহযোগিতা কর এবং এক দফা নিয়ে মাঠে নাম। ২০ জুলাই সাড়ে ৪টার দিকে আমরা যখন যাত্রাবাড়ীতে অবস্থান নিয়েছিলাম তখন কোথা থেকে কোন ভবন থেকে আমাদের গুলি করা হলো আমরা জানি না। আমরা অনবরত গুলির শব্দ শুনছি। আমার হাতে আঘাতের চিহ্ন এখনও রয়েছে। তখন আমার শুধু মনে হচ্ছিল ব্লাড ঝরছে। কে কার ওপর গিয়ে পড়ছে কার শরীরে গুলি লাগছে কেউ জানে না।

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ৪ আগস্ট আমি ছিলাম যাত্রাবাড়ীর দায়িত্বে। আল্লাহর রহমতে ছাত্রদলের নেতৃত্বে আওয়ামী সন্ত্রাসমুক্ত করেছি। শাহবাগে আমাদের সাধারণ সম্পাদক ছিল এবং যুবদলের নেতৃত্বে সেখানে আন্দোলন সফল হয়েছে। ১৬ জুলাই আমরা খবর পেলাম রংপুরে গুলি করেছে। আবু সাঈদকে গুলি করেছে। কাছাকাছি সময় আমরা জানলাম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিমকে গুলি চালিয়েছে। এবং ওয়াসিম হয়তো বা স্পট ডেট হয়ে গেছে।

সে সময়ের কথা স্মরণ করে রাকিব বলেন, আমরা আমাদের সব ইউনিটকে বললাম, তোমরা যে যেখানে আছ সেখান থেকেই লাঠিসোঁটা নিয়ে যাবা। কারণ, ছাত্রলীগ তো খালি হাতে আসবে না। আর এটাই তাদের শেষ লড়াই। আমরা তো সেদিন বুঝতে পারছিলাম আওয়ামী লীগের শেষ, এরা মরণ কামড় দেবে। আমরা সেদিন সকালে দনিয়া কলেজ, বর্ণমালা স্কুলের সামনে গিয়ে একত্রিত হই। আমরা সেখানে বসি। ১২টার সময় আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, আমাদের এখন যাত্রাবাড়ী মোড়টা নিতে হবে। যদি না নেই তাহলে হবে না। বিচ্ছিন্নভাবে তো নেওয়া যায় না, সাংগঠনিকভাবে আমরা পরস্পরকে চিনি, যেন ছাত্রলীগ যদি গুলি করে আমরা যেন পেছনে না যাই। যেহেতু ওখানকার এমপি সজল, ছাত্রলীগ এরা নাকি যাত্রাবাড়ী মোড়ে অবস্থান করছে ১২টায়।

ছাত্রদলের এই কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, আমরা ভাবলাম যে প্রিপারেশন নিয়ে যেতে হবে। আমরা দেখলাম যে যখন হাজারের ওপরে নেতাকর্মীরা মাঠে আসছে তখন আমরা মিছিল শুরু করি দনিয়া কলেজের সামনে থেকে। এই মিছিল নিয়ে আমরা একাধারে যাত্রা শুরু করি, যখন পূবালী মাছ ভাণ্ডার পার হই তখন ওরা আমাদের ওপর গুলি করে। আমাদের শারীরিক স্প্রিট এতো বেশি ছিল যে, কেউ কাউকেই মানার মতো অবস্থায় ছিল না। আমরা পিছু হটব না। পরবর্তীতে আমাদের বেশিক্ষণ সময় লাগে নাই দখলমুক্ত করতে। ইতোমধ্যে সবাই দৌড়ে পালিয়ে কেউ থানায় ঢুকছে কেউ ধোলাইপাড়ে চলে গেছে, এভাবে আমরা করেছি। এরপরে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে আমরা ধোলাইপাড়ে গিয়েছি। ছাত্রদলের নেতৃত্বে ধোলাইপাড় দখলমুক্ত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এরপর মিছিল নিয়ে আমরা জুরাইন গিয়েছি। জুরাইনে আগে থেকেই মাদরাসা শিক্ষার্থীরা ছিল। ওরা ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে লড়াই করতেছিল। জুরাইন আমাদের দখলে ছিল। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দখলে ছিল।

টিএই/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর