রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিএনপির অনুষ্ঠানে তীব্র ক্ষোভ, উপস্থাপনা থেকে এহসান মাহমুদ আউট!

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএনপির অনুষ্ঠানে তীব্র ক্ষোভ, উপস্থাপনা থেকে এহসান মাহমুদ আউট!
বিএনপির অনুষ্ঠানে উপস্থাপক এহসান মাহমুদ। পেছনে গোল চিহ্নিত।

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির অনুষ্ঠানের একজন উপস্থাপককে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। এহসান মাহমুদ নামে একজনকে অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থাপনা করতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন বিএনপি বিটের সাংবাদিকরা। তারা এহসান মাহমুদকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার আপত্তি জানান। পরে তাকে আর মঞ্চে উঠতে দেননি আয়োজকরা।

মঙ্গলবার (০১ জুলাই) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। এদিন বেলা ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির অনুষ্ঠান শুরু হয়। 


বিজ্ঞাপন


এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াললি যুক্ত হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

এর আগে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

সভাপতিত্ব করছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী আহমদ।

এছাড়াও বক্তব্য দেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবার সদস্যরা।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন তিনজন বাকি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন। যার মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, আরেকজন সাংবাদিক এহসান মাহমুদ। 

পরে অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেন ওলামা দলের সদস্য সচিব আবুল হোসেন। এরপরই ডায়াসের সামনে এসে এহসান মাহমুদ এক মিনিট নিরবতা পালনের ঘোষণা দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এহসান মাহমুদ মঞ্চে উঠে কথা বলতেই সামনে থেকে সাংবাদিকরা সমস্বরে ফ্যাসিস্ট, ফ্যাসিস্ট বলে আপত্তি জানান। নেতাকর্মীরাও তাকে মঞ্চে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

পরে আপত্তির কথা শুনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ অন্য নেতারা দাঁড়িয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কানেও শোরগোল পৌঁছায়। এরপর এহসান মাহমুদকে উপস্থাপনা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিকদের আপত্তির বিষয়টি তারেক রহমানের নজরে আসার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা পেয়ে এহসান মাহমুদকে বিরত রাখা হয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, একসময় মুজিব কোর্ট পড়ে এহসান মাহমুদ ঘুরে বেড়াতেন। কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো জাসদ পরিচয় দিতেন। আওয়ামী লীগ, জাসদের নেতাদের সঙ্গে সবসময় ওঠাবসা করতেন। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও নিয়েছেন। অথচ সেই এহসান মাহমুদ এখন বিএনপির বড় বুদ্ধিজীবী! দলটির বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।

2f330d9e-7aa4-44b2-8c4e-5700461332a1

বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন তরুণ নেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, এহসান মাহমুদকে নিয়ে আপত্তির কথা শুনেছি। ১৭ বছর ধরে এই সাংবাদিককে তো আমরা কেউ দেখিনি। হঠাৎ করে সে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন আমরাও জানি না।  উপ-কমিটিতেও তিনি সদস্য সচিবও হয়েছেন। মঞ্চে উপস্থাপনাতেও দেখলাম এই লোক। বিএনপিতে কি উপস্থাপনা করার কেউ নেই?'

বিইউ/ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর