আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে (যেখানে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে) দাবি করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাদের মন্তব্য, ‘এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পেটনীতি করা রাজনৈতিকদের ভাত বন্ধ হয়ে যাবে। তারা তাল পাবে না।’
শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিন দফা দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশে এ মন্তব্য করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে পিআর পদ্ধতিতে। কিন্তু একটি বড় দল এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না। তারা সেই ৫৩ বছরের পুরনো পদ্ধতি চায়। কারণ, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পেটনীতি করা রাজনৈতিক নেতারা ঝরে পড়বে। তাদের লুটপাটের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে।’
ইসলামী আন্দোলনের আজকের এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দলটির আমির মুফতি রেজাউল করিম পীর চরমোনাই।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশের প্রথম অধিবেশনে সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘সুযোগ এসেছে কাজে লাগাতে হবে। বিগত সময়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। যারা ভবিষ্যতে নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তারা কিন্তু ভেবে-চিন্তে দায়িত্ব পালন করবেন।’
প্রচার ও দাওয়া হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসুদ বলেন, ‘আমরা জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে চাই।’
তার দাবি, ‘৫ আগস্টের পর হাটে ঘাটে চাঁদাবাজি করছে একটি দল। এ জন্য আমাদের সবখানে নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। আমরা কাজ করি, কিন্তু পরে দেখা যায় ভোটের দিন এক দল ভোট কেন্দ্র দখল করে বসে আছে।’
দুপুরে নামাজের বিরতীর পর সমাবেশের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। সংস্কার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে মহাসমাবেশ চলছে। সেখানে বক্তব্য দিচ্ছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দলটির দায়িত্বশীলরা এসেছেন।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর দেড়টার দিকে প্রথম অধিবেশনের বিরতি দেওয়া হয়। এরপর নামাজের বিরতি। এদিন সকাল থেকেই উদ্যানে আসতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। মাঝে বৃষ্টি কিছুটা বাগড়া দিলেও তাতে সমাবেশে সমাগমে ভাটা পড়েনি।
এসএইচ/এমআইকে/এএইচ