জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাজনৈতিক সংস্কার এবং পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন— এই তিন প্রধান দাবিকে সামনে রেখে শনিবার (২৭ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আয়োজকদের প্রত্যাশা, এ সমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, মহাসমাবেশের মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মূল মঞ্চের দুই পাশে বিশাল ব্যানারে লেখা— রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দেশ ও ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মহাসমাবেশ।
মঞ্চের দুই পাশে বড় বড় ডিজিটাল স্ক্রিন স্থাপনের কাজ চলছিল। যাতে পেছনের সারিতেও উপস্থিত জনতা বক্তব্য ও কার্যক্রম স্পষ্টভাবে দেখতে পান। এছাড়া মাঠের মাঝামাঝি কোণাতেও ডিজিটাল স্কিন স্থাপন করা হয়েছে।

মঞ্চ পরিদর্শন ও তদারকিতে কেন্দ্রীয় নেতারা
বিজ্ঞাপন
মহাসমাবেশের প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে বিকেলে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা। স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের অনেকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ও যুব আন্দোলনের সদস্য।
সাদা টুপি, ব্যাজ ও পরিচয়পত্র পরিহিত এই স্বেচ্ছাসেবকরা বলছিলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত মানুষদের সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান কাজ।
পরিদর্শন শেষে মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, কোনো তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। শান্তির জন্য চাই ইসলামের শাসন। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের উর্বর ভূমি।

তিনি বলেন, ‘আগামীকালের যে মহাসমাবেশ, তাকে ঘিরে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষের দিকে। আমরা আশা করছি, এই মহাসমাবেশ সফল ও সার্থক হবে।’
সমাবেশ কাভার করতে সাংবাদিকদের জন্য পৃথক মিডিয়া বুথ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ, ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ এবং লাইভ আপডেটের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা থাকবে বলে জানান আয়োজকরা।
এদিকে মহাসমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার টানানো হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট ও বিজয় সরণির আশপাশে ইসলামী আন্দোলনের লোগোযুক্ত ব্যানার শোভা পাচ্ছে।
সবমিলিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন করতে এখন প্রায় প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
এমআই/এএইচ

