দেশের মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। সেজন্য জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তিকে অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে ত্যাগ ও যোগ্যতার সঙ্গে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জনকল্যাণে কাজ করতে হবে। চৌদ্দ-আঠারো মার্কা কোনো নির্বাচন করতে চাইলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। একইসঙ্গে জনগণ তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাসুম।
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে নোয়াখালী সদর, শহর ও সুবর্ণচর উপজেলার সদস্যদের প্রশিক্ষণ শিবিরে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় ব্যাপক জনসমর্থন ও সংগঠন কায়েম করতে হবে। যাতে আমরা জনগণকে আহ্বান জানালে অতীতের চাইতে আরও শক্তিশালীভাবে রাজপথে এগিয়ে আসতে পারে। আমাদের প্রার্থীদেরকে জনপ্রিয় প্রার্থীতে রূপান্তরিত করতে হবে; সেজন্য উন্নত আখলাক, সুন্দর ব্যবহার ও তৎপরতার মধ্য দিয়ে মানুষের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট থাকতে হবে। আমাদের অনেক বেশি লেখাপড়া করতে হবে। যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বেশি বিনয়ী, পরিশ্রমী ও আপসহীন হতে হবে। জুলুমের অবসান ঘটানোর জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের মধ্যে আশাবাদ দেখাতে হবে যে, জামায়াতকে ক্ষমতা দিলে দুর্নীতিমুক্ত ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
এটিএম মাসুম বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর আমরা এক অন্ধকার যুগে বাস করেছি। গুম, খুন, হামলা, মামলা, বিচারহীনতার সাংস্কৃতি দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। আল্লাহ জালেমের পতন ঘটিয়ে মজলুমের বিজয় দান করেছেন। আল্লাহ জালেমকে ছাড় দেন, কিন্তু ছেড়ে দেন না। অতীতে নমরূদ, হারুন, কারুন, ফেরাউন, সামুদকে যেভাবে ধ্বংস করেছেন; বাংলাদেশেও ফেরাউনের শাসনের সেভাবে পতন ঘটিয়েছেন। এখন মজলুমের পক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী শহরের আমির মাওলানা ইউসুফ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার, ফেনী জেলা জামায়াতে আমির মুফতি মুহাম্মদ আবদুল হান্নান, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও কুমিল্লা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ড. একেএম সারওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, সহকারী সেক্রেটারি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত, উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আবু তাহের, সদর উপজেলা আমির হাফেজ মহিউদ্দিন, সেক্রেটারি ডা. মিরাজ, সঞ্চালনা করেন শহর সেক্রেটারি মাওলানা মো. মায়াজ সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এফএ

