সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ইতিহাসকে ‘ইতিহাসের মতো’ চলতে দেওয়ার দাবি সারজিসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৫, ০৫:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

sarjis
সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে অতীতে অনেক পক্ষপাতিত্ব হয়েছে। বিশেষ করে গত ১৫ বছর এক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই ইতিহাস আবর্তিত হয়েছে। তার সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে। এখন ইতিহাসকে ‘ইতিহাসের মতো’ চলতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম।

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি এই কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


সারজিস আলম লিখেন- ২৪ এর অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে সবকিছু ছিল এক ব্যক্তি এবং এক দল কেন্দ্রিক। ইতিহাস মানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ভুল ধরার সুযোগ নেই। ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত, শিবির, রাজাকার কিংবা সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী ট্যাগ খাবেন।

সারজিস লিখেন- একইভাবে মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের কিংবা সরকারের সমালোচনা করতে পারলেও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেশতা। এটা বলার স্পর্ধা দেখালে আপনি আবার ট্যাগ খাবেন। গুম, খুন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও সম্মুখীন হতে পারেন।

এনসিপি নেতা লিখেন- তখন মনে হতো এমনকি কোনো সময় আসবে কিংবা এমন কিছু মানুষ কি থাকবে যারা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তত ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০০৮ পর্যন্ত আমাদের সামনে তুলে ধরবে?

আরও পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা কী, জানালেন সারজিস

বিএনপির ‘অপকর্মকারীদের’ সতর্ক করলেন সারজিস

সারজিস লিখেন- সেই সুযোগ তখন ছিল না। এখন আছে। আমরা এই প্রজন্ম চাই-

ইতিহাসের এই অধ্যায়গুলোতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি; তিনি যেকোনো দল, মত, ধর্ম, বর্ণ কিংবা ক্ষেত্রের হোক না কেন, তাদেরকে তাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে হবে। তাদের ভালো কাজগুলোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে, সীমাবদ্ধতাগুলোকে অ্যাড্রেস করতে হবে।

তিনি আরও লিখেন- যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন, পড়াশোনা করেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাকের এই ইতিহাসগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পারসপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন। জনগণ বিচার করুক কোনটা তারা গ্রহণ করবে আর কোনটা গ্রহণ করবে না।

জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম এই নেতা লিখেন- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদ, জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে যাদের যতটুকু অবদান সেগুলো তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি তাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই সীমাবদ্ধতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কাউকে ফেরেশতা বানানোর প্রয়োজন নেই, আবার কাউকে উপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দিতে হবে।

জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর