বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের মুখের ভাষা ও চোখের ভাষা বুঝতে হবে। একক কোনো দলের প্রতি আনুগত্য নয়, বরং জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা বুঝে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের গেন্ডারিয়া-ওয়ারী জোনের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড. আব্দুল মান্নান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী দক্ষিণের শুরা সদস্য মাওলানা মীর আমিরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, গোলাম আজম, কামরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ড. মাসুদ বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জনগণের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সংস্কার, ২০০৮-২০২৪ সময়কালে সংঘটিত গণহত্যার বিচার এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাঁর প্রতি সম্মান ও আস্থার জায়গা থেকেই আমরা আশা করি, তিনি কোনো দলের প্রতি পক্ষপাত না করে জাতির প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন। পক্ষপাতিত্ব হলে তা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তখন নতুন ধরনের এক ফ্যাসিবাদ দেখা দিতে পারে, যা অতীতের তুলনায় আরও ভয়াবহ হবে।’
বিজ্ঞাপন
মাসুদ বলেন, ‘দেশ একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ইসলামি সমাজ বিনির্মাণে আমাদের অতীতের চেয়েও বেশি আত্মত্যাগে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করেছি, তেমনি ইসলামি আদর্শ বাস্তবায়নের পথেও আমাদের জান-মাল কোরবানি দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে তিনি ঈদের আনন্দকে ইসলামি আন্দোলনের প্রেরণায় রূপান্তর করে প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে সংগঠনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান।
টিএই/জেবি

