নির্বাচন নিয়ে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে থাকলেও এখনো এ নিয়ে অস্পষ্টতা আছে এমন দাবি করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর মতো দল জুন নয়, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলেছে। মেজর কোনো রাজনৈতিক দল জুনে নির্বাচনের কথা বলছে না। তাহলে জুনের মতো একটা প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে তারা ভোটের কথা বলছে কেন?’
মঙ্গলবার (০৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মান্না এমন প্রশ্ন রাখেন।
বিজ্ঞাপন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘কোনো জবাবদিহি করেন না’ দাবি করে মান্না বলেন, ‘একটি মাত্র রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, এ বক্তব্যের বিষয়ে উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি এবং মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। এমনকি সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
মান্না বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগে একটি মাত্র দল নির্বাচন চায়। এমন একটা ভুল করা কি প্রফেসর ইউনূসের জন্য সঙ্গত? এটা কি মানায় তার কাছে? মানে উনি ভুল করে বলেছেন এমন কি হতে পারে? উনি জানতেনই না যে একটারও বেশি, প্রায় ২৯টা দল ইতিমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছে। এই ভুল তো তার হওয়ার কথা নয়। উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।’
তিনি বলেন, বিদেশি পরামর্শদাতা বলেছেন, হিউম্যান করিডর নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, আবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, এমন কোনো আলোচনা হয়নি। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
সরকারের উদ্দেশে মান্না বলেন, ‘রাজনীতি করতে হলে বুঝে করতে হয়। শক্তি থাকলেই হয় না। ভুল নীতির ওপর দেশ পরিচালনা সম্ভব নয়। যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা যেন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন।’
বিজ্ঞাপন
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের সভাপতিত্বে এবং দলের সহসভাপতি ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম ও গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বিইউ