বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার বিষয়ে এখনও সমাধান হয়নি। কবে নাগাদ হতে পারে, আদৌ শপথ হবে কি না— তার সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে তাকে মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে আবারও ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তার সমর্থকরা। সেই সঙ্গে নগর ভবনের মূল ফটকসহ সকল সেবা দেওয়ার দফতরেও ঝুলছে তালা।
অন্যদিকে ইশরাকের সমর্থকদের সঙ্গে নগর ভবনের শ্রমিক ও কর্মচারীরারও কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে সব ধরনের নাগরিকসেবা দেওয়া বন্ধ থাকায় মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১ জুন) সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে স্লোগানসহ মিছিল নিয়ে নগর ভবনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে তারা মূল ভবনের নিচে অবস্থান নেন। এতে নগর ভবন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন কর্মী-সমর্থকরা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, গত দুদিন সরকারি বন্ধ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহদাতবার্ষিকীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকায় আমাদের আন্দোলন বন্ধ থাকলেও ইশরাক হোসেনকে যতদিন শপথ না পড়ানো হবে, ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব।
গত ১৪ মে থেকে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনে টানা অবস্থান ও কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন ইশরাক সমর্থকরা। একই দাবিতে গেল সপ্তাহে দুই দিন যমুনার সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গত ২৭ মার্চ ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ও ঢাকা ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই গেজেট বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ ইশরাক হোসেনের শপথ না পড়ানো নিয়ে করা আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে মেয়রের পদ বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনে টানা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ইশরাক হোসেন।
এ সময় তিন সরকারে উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে উচ্চ আদালতের রায় মেনে নিয়ে শপথ আয়োজনের ব্যবস্থা করুন। আর এটি আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকারে) শেষবারের মতো প্রতি আহ্বান।
বিইউ/এইউ