প্রস্তাবিত সংস্কার শেষ করে আগামী ডিসেম্বর মাসের আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব বলে আবারও মন্তব্য করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা মনে করি প্রস্তাবিত সংস্কার শেষ করে, যদি তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) ইনটেনশন সঠিক থাকে, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। তবে তার আগেও নির্বাচন দেওয়া সম্ভব।’
তার অভিযোগ, ‘এই সরকার ১০ মাসেও জাতীয় নির্বাচনের তারিখ দেয়নি। ফলে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দেশে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ হচ্ছে না। ব্যাবসায়িক সংগঠনগুলো বলছে, শত শত কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধের উপক্রম হয়েছে এমন আরও অনেক। তারা সরকারের কাছে তা তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন না।’
জনগণের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ নেই উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছাড়া প্রশাসন ও ফাইল দিয়ে সব সমস্যার সমাধান যদি করা যেত, তবে রাজনীতির প্রয়োজন হতো না।’
বিজ্ঞাপন
অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবিলম্বে ডিসেম্বরের মধ্যেই সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। এখানে অন্তর্বর্তী সরকারের জয় বা পরাজয়ের কোনো কিছুই নেই। বরং স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে গণতন্ত্রকে বিজয়ী করুন, করতে সাহায্য করুন।’
গণঅভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্র্বতী সরকার গঠন বৈধ হলেও এই সরকার কোনোভাবেই জবাবদিহিমূলক নয় বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
এর আগে বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর পল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে তারুণ্যের সমাবেশে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে একই মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে কারো কারো ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। তবে নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে।’
এএইচ