‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’—এই স্লোগান সামনে রেখে সমাবেশের আয়োজন করেছে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকার আশেপাশের অসংখ্য তরুণ এসেছে।
তরুণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিছক শুধু স্থানীয় এলাকার রাজনৈতিক ব্যানারে নয়, বরং রাজনৈতিক অধিকার জানতে এবং ছড়িয়ে দিতে তারা এসেছেন। আগামীর বাংলাদেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তারা ভূমিকা রাখতে চান বলেও জানান।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৮ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীত সড়কে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ আসা ১০ জনের বেশি তরুণ এমন মতামত ব্যক্ত করেন।
ময়মনসিংহ থেকে আসা কলেজছাত্র আল আমিন হোসেন বলেন, ‘আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করেছি। রাজনৈতিক অধিকার জানতে বন্ধুদের সঙ্গে সমাবেশে এসেছি।’
পুরান ঢাকার বাসিন্দা এবং ঢাকার উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র আরিফ ইসলাম বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে কোনো পছন্দের রাজনৈতিক দল নেই। তারুণ্যের সমাবেশে কী বলা হচ্ছে, সেটি জানার জন্য এসেছি।’
বিজ্ঞাপন
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শফিক ইকবাল বলেন, ‘দীর্ঘদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণদের ভূমিকা দেখেছি। জুলাই আন্দোলনের আগে দেশের বড় একটা তরুণ সমাজকে ছাত্রলীগ দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে। নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তরুণের মাধ্যমে একটা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের পর বাংলাদেশ একটা নতুন রূপ পেয়েছে। আগামীতে যাতে দেশের তরুণ সমাজকে আর কোনো দল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারেন, সেই জন্য সবার সচেতন হতে হবে। নিজের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই সমাবেশে যোগ দিয়েছি।’
কুমিল্লা থেকে এসেছেন কলেজ ছাত্র আনিসুল হল। তিনি বলেন, ‘এলাকার বড় ভাইদের সঙ্গে এসেছি সমাবেশে। ব্যক্তিগত আগ্রহের জায়গা আমার মতো আরও তরুণা আসলে কী ভাবছে, আমাদের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে আরও বেশি সচেতন হওয়ার জন্য সমাবেশে এসেছি।’
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের কবির বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন কলেজে রাজনীতি দেখেছি। এও দেখেছি, তরুণদের ক্ষমতাশীন দলের নেতারা কীভাবে দলে টানেন। তবে জুলাই আন্দোলনের পর তরুণদের মধ্যে বড় একটা পরিবর্তন এসেছে। তারা রাজনৈতিক দলের নেতার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার মতো চিন্তা করতে পারে।’
জুবায়ের জানান, আগামীর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তরুণদের ইতিবাচক ভূমিকার বিষয়ে জানতে এই সমাবেশে যোগ দিয়েছি।’
এএসএল/এএইচ