জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন, ‘নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।’
রোববার (১১ মে) রাজধানীর কাকরাইলে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
বিজ্ঞাপন
নাহিদ বলেন, ‘বিগত সময়ের সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: সংস্কারবিহীন নির্বাচন কোনো কাজে দেবে না: নাহিদ ইসলাম
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণের মতো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি না হলে অন্যান্য বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি করে গণতান্ত্রিক ধারা সচল হবে না। এক ব্যক্তির ইচ্ছামাফিক সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। এতো বড় গণঅভ্যুত্থানের পরও সংবিধান সংশোধনের মৌলিক বিষয়ে আমরা একমত হতে পারছি না, এটি দুঃখজনক।’
নাহিদ বলেন, ‘৭৫-পরবর্তী ৭২ এর সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু হতে পারতো। কিন্তু তা হয়নি। নতুন সংবিধান তৈরি করতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না।’
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে শুধু সংবিধান নয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্কারও করতে হবে এবং সংবিধানের মূলনীতি দলীয় মূলনীতির বাইরে বের করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সংগঠক মনে করেন, ‘আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে ঐক্যমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচনের দিকে যাব: নাহিদ ইসলাম
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘বিচার কার্যক্রমের একটি অংশ ইতোমধ্যে এগিয়েছে। এখন প্রয়োজন বিচারিক রোডম্যাপকে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা। এতে জনগণের মধ্যে আস্থা জন্মাবে।’
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ, নাগরিক কোয়ালিশন এবং সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের সাত প্রস্তাবের ওপর এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন নাহিদ।
এএইচ

