দেশের পরিমণ্ডলে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশের’ আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নতুন এ দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
নতুন এ দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শওকত মাহমুদ।
বিজ্ঞাপন
দলটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র পদে গোলাম সরওয়ার মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল হক হাফিজ, সিনিয়র আইনজীবী ওয়ালিউর রহমান খান, রেহানা সালাম, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ, এম এ ইউসুফ, নির্মল চক্রবর্তী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে এম আসাদুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব পদে অ্যাডভোকেট রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আলামিন রাজু ও নাজমুল আহসান দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া নতুন দলটিতে সমন্বয়কারী পদে নুরুল কাদের সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুরাদ আহমেদ, সদস্য পদে মেজর (অব.) ইমরান, কর্নেল (অব.) সাব্বির, প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক গুলজার হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে হাসিবুর রেজা কল্লোল, উপদেষ্টা পদে শাহ্ মো. আবু জাফর, মেজর (অব.) মুজিব, ইকবাল হোসেন মাহমুদ, ডা. ফরহাদ হোসেন মাহবুব, জাফর ইকবাল সিদ্দিক, আউয়াল ঠাকুর, তৌহিদা ফারুকী ও মামুনুর রশীদ দায়িত্ব পালন করবেন।
দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ৩২ বছর আমি নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করেছি। কিন্তু কোনো সরকারের সহযোগিতা পাইনি। আমার এই আন্দোলনকে সফল করতে পারিনি। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া আন্দোলন সফল করা সম্ভব না। এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এদেশের জন্য কাজ করতে চাই। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন।
নতুন দলের লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন দলের মহাসচিব শওকত মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা উদার গণতান্ত্রিকতায় বিশ্বাসী মধ্যপন্থী একটি দল। মধ্যপন্থা মানে এই নয় যে, সকল মতের মাঝে একটি আপোষমূলক অবস্থান। বরং পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৪৩ আয়াতের ভাষ্য অনুযায়ী মধ্যপন্থীরা হচ্ছে ঈমানে বলীয়ান, মানবীয় মর্যাদা ও সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ভারসাম্যপূর্ণ এক সম্প্রদায় যারা ভালো কাজের কথা বলবে, মন্দকে নিরুৎসাহিত করবে অধিকন্তু জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা উচ্ছেদে আমরা দৃঢ়সংকল্প। ন্যায্যতা, সমতা, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
বিজ্ঞাপন
শওকত মাহমুদ বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচনসর্বস্ব গণতন্ত্রকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। জীবন যাপনের প্রতিটি স্তরে ও ক্ষেত্রে প্রতিদিন আমরা গণতন্ত্রের চর্চা চাই। অপরাজনীতিকে জিইয়ে রেখে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার এক্ষণে জাতিকে নতুন যাত্রাপথে তুলে দিতে, বেদনাদায়ক হলেও, সর্বপর্যায়ে সংস্কার আবশ্যক। ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের হাতে সংস্কারের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া মানে আত্মহনন এবং জনগণকে আশাহত করা। সংস্কারের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন রাষ্ট্রীয় বন্দোবস্ত সাব্যস্ত করা জরুরি। সকল সংস্কার প্রস্তাবের নির্মোহ মূল্যায়ন আবশ্যক।
তিনি আরও বলেন, সকল ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তপরায়ণতা রুখতে বড় ধরনের নৈতিক জাগরণ প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, হাজারো শহীদের রক্তে গড়া ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেট রয়েছে এসবের বাস্তবায়নে ছাত্রদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকবৃন্দ ও জনতার সংকল্প ও এই সরকারের অন্যতম ভিত্তি।
এসএইচ/এএস

