রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে স্বৈরতান্ত্রিক আইনের সংস্কারসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আনুষ্ঠিত এক জনসমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
তাদের দাবিগুলো হলো- ১. ব্যাংক লুটেরা এবং পাচারকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য স্পেশাল ট্রাইবুনাল গঠন।
২. দল নিবন্ধনে স্বৈরতান্ত্রিক আইনের সংস্কার।
৩. কৃষি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ।
৪. ধর্ষণ ও মব সন্ত্রাস বন্ধ।
৫. সংবিধান সংস্কার সভা এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে করার দাবি।
সমাবেশে দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, ব্যাংক লুট বন্ধ করেন। নতুন বাংলাদেশে কোনো ধরনের লুটপাট গ্রহণ করা হবে না। জুলাই আন্দোলনের পর আমরা চেয়েছিলাম রাজনৈতিক সংস্থার হবে কিন্তু কোনো ধরনের সংস্কার ছাড়াই নতুন নতুন দল গড়ে উঠছে। আমরা রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার চাই।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয় হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, দেশ থেকে গত ১৭ বছরে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এক ইসলামী ব্যাংক ব্যবহার করে এস আলম এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি টাকা পাচার করেছে। গত ৭ মাসেও এই সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আমরা চাই জনগণের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল। যেখানে দেশের ব্যাংক লুটেরাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্দোলনের পর চেয়েছিলাম শুধু হাসিনার পরিবর্তন হয়। পুরো শাসন ব্যবস্থার একটা ইতিবাচক পরিবর্তন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটা হয়নি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ের তৈরি আইনে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দল নিবন্ধনের যেসব শর্ত সেগুলো হলো লুটেরাদের শর্ত। জনগণের জন্য কাজ করে এমন দল নিবন্ধন পাবে না কারণ তাদের টাকা-পয়সা নেই। তাই কৃষকরাও যাতে রাজনীতি করতে পারে সেই দাবি জানাই। একইসঙ্গে আগের সব নিয়ম বাদ দিয়ে পুরো নির্বাচন কমিশনের সংস্কার চান এই নেতা।
বিজ্ঞাপন
জনসমাবেশ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
/এএস