বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

পদ্মা ব্রিজ দিয়ে স্বর্গে যাবো: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২২, ০১:৫৮ পিএম

শেয়ার করুন:

পদ্মা ব্রিজ দিয়ে স্বর্গে যাবো: ফখরুল

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, রাজপথে স্লোগান দিতাম...। তখন ১০ টাকা তেলের দাম বাড়লে বিরাট দাম বেড়ে যেত। তখন আমরা বলতাম ১০ টাকার তেল খেয়ে স্বর্গে যাবো। এখন বলতে চাই, ওই ব্রিজের টোল দিয়ে এবং পদ্মা ব্রিজ দিয়ে স্বর্গে যাবো।’

শুক্রবার (১০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


এ সময় বিএনপি মহাসচিব সংসদে দেওয়া দলের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশংসা করে বলেন, ‘আমাদের রুমিন ফারহানা গতকাল খুব ভালো কথা বলেছে, যে পদ্মা ব্রিজ সোনা দিয়ে মোড়ানো।’

সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের সরকার অনির্বাচিত সরকার। সরকার গতকাল বাজেট ঘোষণা দিয়েছে। এই বাজেট জনগণের জন্য নয়। এই সরকার জনগণের শত্রু। এই বাজেট জনগণের গণশত্রু হিসেবে ঘোষণা হয়েছে।’  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শিল্প কারখানায় যে গ্যাস ব্যবহার করা হয় সেই গ্যাসের দামও বাড়বে। এভাবে প্রতিটা জিনিসের দাম রাতারাতি বাড়তে থাকবে। আজকের বাজেট পাস করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অর্থাৎ পুলিশ বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য বাড়ানো হয়েছে। সরকার সাধারণ জনগণের পাশে অতীতেও ছিল না, তারা জনগণকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না।’

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের জনগণকে বোঝাতে হবে, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে চলছে। সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট, ত্রিশ হাজার কোটি টাকার পর্যায়ে নিয়েছে। বাকি সব টাকা চুরি করেছে।’


বিজ্ঞাপন


মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, জনগণের ভোটের প্রধানমন্ত্রী, আজ আমাদের বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। অন্যায়ভাবে তাকে বন্দী করে রাখছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে রাখছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার কবল থেকে আমাদের অবশ্যই মুক্তি পেতে হবে। আর এই মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ কখনো স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী সরকারকে পছন্দ করেনি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারকে বলছি, এখনও সময় আছে, পদত্যাগ করুন। এমন এক সময় আসবে পালানোর সময় পাবেন না।’

সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের সবকিছুর দাম বাড়ে, শুধু মূল্য কমেছে সাধারণ মানুষের। আওয়ামী লীগের আমলে সবকিছুর দাম বাড়ে, শুধু দাম কমে মানুষের জীবনে, যারা প্রতিবাদ করে তাদের জীবনের।’

আলাল বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারেক রহমান লন্ডন থেকে টেলিফোন করে ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর কথা বলেছেন আর এজন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। তারেক রহমানের যদি এতই ক্ষমতা থাকতো তাহলে তিনি লন্ডনে থাকতেন না। আপনারা যদি মনে করেন তারেক রহমানের অনেক ক্ষমতা তাহলে ভা‌লোভা‌বে দেশ চালানোর জন্য তার কাছ থেকে পরামর্শ নেন।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

এমই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর