আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৫০টিতে জয় পেলেও এককভাবে সরকার গঠন করবে না বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকতউল্লাহ বুলু। তিনি বলেছেন, বিএনপি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব দল নিয়ে সরকার গঠন করবে।
গণতন্ত্রের মানসপুত্র মশিয়ূর রহমান যাদু মিয়ার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, বিএনপি ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করে না। তাই ৫ আগস্টের পর জাতীয় সরকার গঠনের কোনো প্রস্তাব করেনি। জনগণের ক্ষমতা তাদের ইচ্ছের ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ২৫০টি আসন পেলেও একক সরকার গঠন করবে না। আন্দলনের অংশগ্রহণকারী সব দল নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই। আমরা স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে রাজনীতি করতে চাই।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনা। গত ১৭ বছর ধরে তিনি যাকে চেয়েছেন সে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে অবৈধভাবে বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু সেখানে জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলন ছিল না। বিএনপিসহ প্রায় ৪২টি দল আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন করেছি। এই ১৭ বছরে সকল ধরনের অন্যায়, অত্যাচার ও জুলুমের স্বীকার হয়েছি। আমরা মা-বাবার জানাজায়ও উপস্থিত হতে পারিনি। এই দীর্ঘ সময়ে খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে বিএনপির প্রায় ৬৫ লাখ কর্মী মামলার শিকার হয়েছে। আমরা সব কিছু সহ্য করে আন্দোলন করে গেছি।
যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ মানে না, তাদের এ দেশে নির্বাচন করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন বরকতউল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, একাত্তর দেশের মূল স্তম্ভ যারা মানে না তাদের ভোট চাওয়ার যোগ্যতা নেই।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভার আরও উপস্থিত ছিলেন অতিথি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, নজমুল হক নান্নু প্রমুখ।
এসএল/ইএ