মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে তাক্বওয়া অর্জন ও আত্মশুদ্ধির আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে তাক্বওয়া র্অজন ও আত্মশুদ্ধির আহ্বান

মাহে রমযান মহিমান্বিত মাস, যে মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছে এবং এ মাসেই বদর যুদ্ধ ও ফতেহ মক্কাসহ ইসলামের বড় বড় বিজয় এসেছে; তাই এ বরকতময় মাসে সকলকে যথাযথভাবে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে তাক্বওয়া অর্জন ও আত্মশুদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টায় রাজধানীর মিরপুর-১ সনি মোড়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মাহে রমযানের পবিত্রতা রক্ষা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় সরকারকে আপসহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।


বিজ্ঞাপন


সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশের সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালনের ব্যাপারে পুরোপুরি স্বাধীন। কিন্তু যারা ঈমানের দাবিদার তাদেরকে পুরোপুরি কুরআন-সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। মূলত, আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের ওপর সিয়াম পালনকে অত্যাবশ্যকীয় করে দিয়েছেন। পবিত্র কালামে হাকিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়ামকে ফরজ বা অত্যাবশ্যকীয় করে দেওয়া হয়েছে; যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর অত্যাবশ্যকীয় করে দেওয়া হয়েছিলো; যেন তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারো’। 

তিনি আরও বলেন, কিন্তু একশ্রেণির মানুষ আছে যারা বাস্তবজীবনে ইসলামের অনুসারী না হয়ে ভোটের সময় টুপি, তসবিহ হাতে নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতায় গিয়ে কুরআনের অনুশাসন অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করেন না। অথচ কালামে পাকে ঘোষণা করা হয়েছে, যারা আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে না তারা জালেম, ফাসেক এবং কাফের। তাই আগামী দিনে যারা কুফরী, ফাসেকী ও জালেমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে জনগণ আর তাদের পক্ষে রায় দেবে না। তাদেরকে এদেশে রাজনীতি করতে হলে নির্বাচনের ইশতেহারে কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। 

তিনি দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সকলকে জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির বলেন, জনগণ জামায়াতকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে এদেশকে একটি কার্যকর গণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে। আর তারই পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দেশে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন জনহিতকর কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। আমরা আত্মকর্মসংস্থান, বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য কর্জে  হাসানা, অফেরৎযোগ্য অর্থ প্রদানসহ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের পুঁজির যোগান দিয়ে যাচ্ছি। যাতে দেশের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে। 


বিজ্ঞাপন


তিনি ক্ষুধা ও দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র মাহে রমযান কুরআনের মাস। এ মাসে কুরআন নাযিল হয়েছিল বলেই এ মাসের মর্যাদা অন্য মাসের তুলনায় অধিক। আর রমযানের কারণেই কুরআনের মর্যাদাও সমুন্নত হয়েছে। তাই এ মাসে রোজা পালন রোজাদারদের জন্য সহজ করার জন্য সরকারকে কার্যকর পক্ষক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। একই সাথে দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধসহ সকল প্রকার অস্থিরতা, নগ্নতা ও বেহায়াপনা বন্ধের জন্য নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। সর্বোপরি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গ্রহণ করতে হবে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা  মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থতি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেন, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, মহানগরী কর্মপরিষদের সদস্য নাসির উদ্দীন, শহিদুল্লাহ, হেদায়েত উল্লাহ, শাহ আলম তুহিন, অধ্যাপক আনোয়ারুল হক প্রমুখ। 

এমই/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর