বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানকে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। এতে দলটির নেতাকর্মী ছাড়াও হাজারো মানুষ অংশ নেয়।
বিজ্ঞাপন
নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আব্দুল্লাহ আল নোমানের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আনা হলে বিএনপির এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন্ন নবী খান সোহেল এবং যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থী ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন।
১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।
এমই/এমআর