বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।)
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় রাজধানীতে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিজ্ঞাপন
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার দাফন-কাফনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আবদুল্লাহ আল নোমানের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।
বিএনপির এই নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্বিতীয়বার ২০০১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিজ্ঞাপন
আবদুল্লাহ আল নোমানের রাজনীতির শুরুটা ষাটের দশকে। হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থী ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমে তিনি ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করলে ১৯৮১ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত ছিলেন।
জেবি