শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

দেশ নিয়ে আমরা আর কাউকে খেলতে দেব না: রফিকুল ইসলাম খান

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৩ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী আমলে ২ কোটি ভুয়া ভোটার করা হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে। কিন্তু এ জোড়াতালির ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন হবে না। নতুন করে ভোটার তালিকা করে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন দিতে হবে। মানুষ জীবন দিয়েছে নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসন দেখার জন্য নয়। ২০০৮ সালে ছিল সাজানো নির্বাচন, ২০১৪ বিনা ভোটে,২০১৮ রাতের ভোটে এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে নিমগাছী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাংতে হবে। সরকারকে বলবো, আপনারা না পারলে সিন্ডিকেট কারা করছে, জনগণের হাতে সোপর্দ করুন। তারাই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেবে। দেশটা কারো বাপের না। দেশটা কোনো দলের না। এই দেশকে নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। দেশজুড়ে একটা আওয়াজ উঠেছে, সবদল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা সম্মানিত হবে। অমুসলিমরা সবেচেয়ে ভাল থাকবে। ইসলামী সরকার তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবে। জামায়াতের কাছে অমুসলিমরা সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, যেনতেন নির্বাচনের জন্য মানুষ জীবন দেয় নাই। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয় নাই। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংস্কার শেষে কবে নির্বাচন হবে তার একটা স্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। তবে সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করা যাবে না।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আর কাউকে খেলতে দেয়া হবে না। আগামী দিনের বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে চাই। যে রাষ্ট্র কারও প্রভুত্ব মেনে নেবে না। প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই নির্বাচন দিতে হবে। যেনতেন সংস্কার মানব না, তবে সেই সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ মানব না। এদেশের মানুষ জেগে উঠতে শিখেছে। জেগে ওঠা জনগণ কারও প্রভুত্ব মানবে না। গত ১৬ বছরে পুরো বাংলাদেশ একটি বন্দিশালা বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। বিনাদোষে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হতো। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে যারাই সংগ্রাম করতে চেয়েছে তাদেরই টুটি চেপে ধরা হয়েছিল। তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু মানুষ হত্যা করে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি বলেন,  এদেশের মানুষ গণশত্রুদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ তুলেছিল। জুলাই-আগস্টে হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। একজন বিচারপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসি দিয়ে আস্ফালন করে বলেছিলেন ‘আজকে সাঈদীকে ফাঁসি দিয়ে আসলাম’। কিন্তু তাদের পরিণতি কি হয়েছে তা সারা পৃথিবী দেখেছে। অহংকার ভালো নয়, যারা অহংকার করে কথা বলতেন তারা এখন কোথায়। তারা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির আলী মূর্তজার সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড.মাওলানা আব্দুস সামাদ,সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের অধ্যক্ষ মাওলানা শাহিনুর আলম, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সালাম, সিরাজগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল লতিফ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, তাড়াশ উপজেলা জামায়াতের আমির গোলাম সাকলায়েনসহ আরও অনেকে।

প্রতিনিধি/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর