ছাত্রদের রাজনৈতিক দল নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের পর এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। তার মতে, নতুন দলের উত্থানকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিএনপি। অভ্যুত্থানের সরকারের ম্যান্ডেট ৭০ ভাগ ভোট পাওয়া দলের চেয়েও বেশি বলে দাবি করেছেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহর মতে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ও জুলাই স্পিরিট ধারণকারী ছাত্র-জনতার সম্মিলনে যখন নতুন একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান হওয়ার আভাস পেল ঠিক তখন বিএনপি সেটিকে চিহ্নিত করল তাদের দলীয় স্বার্থের বিপক্ষে হুমকি হিসেবে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘...বিএনপি এ কথা ভুলে গেল, গণ-অভ্যুত্থানের ফলে গঠিত হওয়া সরকারের ম্যান্ডেট ষাট-সত্তরভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়া রাজনৈতিক দলের চেয়েও বেশি।’
'নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা উপস্থিত' হলে 'ঠিক এ কারণেই' বিএনপি সেটিকে হুমকি হিসেবে দেখেছে বলে মনে করেন তিনি।
‘গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশের কাঠামোগত পরিবর্তন করার সময় ও সুযোগ এলো অথচ বিএনপি দেশ পুনর্গঠনের এই সুযোগকে অবমূল্যায়ন করে হাজির হলো ১/১১ সরকারের ফর্মূলার আলাপ নিয়ে। ওদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যখন দেশ সংস্কারের কাজে নিয়োজিত হলো তখন বিএনপি এসে বললো, এই সংস্কার করার ম্যান্ডেট বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই,’ যোগ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে নানা বিষয়ে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। এরপরই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রনেতাদের পক্ষ থেকে এসব প্রতিক্রিয়া এলো।
জেবি

